সিবেসিয়াস গ্রন্থি -ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণকারী গ্রন্থি
আপনার ত্বকের প্রাকিতিক তেল নিঃসরণকারী গ্রন্থি সম্পর্কে জানা আছে?সিবেসিয়াস
গ্রন্থি কি,কোথায় অবস্থিত,সিবেসিয়াস গ্রন্থির কাজ,দেহের কোথায় সিবেসিয়াস
গ্রন্থি নেই সহ সবকিছু সম্পর্কে আজকে এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো।
সিবেসিয়াস গ্রন্থি ত্বকের এবং চুলের যত্নে বিশেষ ভাবে ভূমিকা পালন
করে।সিবেসিয়াস গ্রন্থি ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য অপরিহার্য একটি
গ্রন্থি।ত্বকের পাশাপাশি এটি চুলেকেউ স্বাস্থবান রাখতে সাহায্য করে।চলুন
সিবেসিয়াস গ্রন্থি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
পেজ সূচিপত্র:সিবেসিয়াস গ্রন্থি -ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণকারী গ্রন্থি
- সিবেসিয়াস গ্রন্থিটা কি এবং এর কাজ
- সিবেসিয়াস গ্রন্থি কোথায় রয়েছে ও কোথায় নেই
- সিবাম কি ও এর উপকারিতা
- কেন অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ হয়
- সিবাম নিয়ন্ত্রণে করণীয়তা
- ত্বকের যত্নে সিবেসিয়াস গ্রন্থির গুরুত্ব
- সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া কি
- সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়ার কারণ ও লক্ষণ
- সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়ার প্রতিরোধের উপায়
- শেষ মন্তব্য:সিবেসিয়াস গ্রন্থি-ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণকারী গ্রন্থি
সিবেসিয়াস গ্রন্থিটা কি এবং এর কাজ
সিবেসিয়াস গ্রন্থি ত্বকের একটি এক্সোক্রাইন গ্রন্থি যা আমাদের দেহে সিবাম নামের একধরনের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ করে থাকে।সিবাম আমাদের ত্বককে শুষ্কতা ও ফেটে
যাওয়া থেকে রক্ষা করে।সিবেসিয়াস গ্রন্থি চুলের গোড়ার ফোলিকলের সাথে যুক্ত
থাকে এবং সেখান থেকে সিবাম নিঃসরণ হয়।চুলকে চকচকে ,স্বাস্থবান রাখতে সাহায্য করে।
সিবাম ত্বকের ওপর একটি আবরণ তৈরি করে যা ত্বককে বিভিন্ন
জীবানু,ধুলোবালি থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।এছাড়াও ত্বককে নরম ও মসৃন রাখতে
সাহায্য করে।আমাদের শরীরে যদি সঠিক মাত্রায় সিবাম নিঃসরণ না হয়
তাহলে ত্বক খারাপ হয়ে যেতে পারে।
আবারও চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।আবার অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ হলে ত্বক
বেশী তৈলাক্ত হয়ে মুখে ব্রণ,ব্লাকহেডসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।সিবেসিয়াস
গ্রন্থি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণের ভারসাম্য বজায় রাখে।
সিবেসিয়াস গ্রন্থি কোথায় রয়েছে ও কোথায় নেই
আমাদের শরীরের ত্বকের যেসব স্থানে চুলের ফোলিকল অবস্থিত সব জায়গাতেই
সিবেসিয়াস গ্রন্থি রয়েছে।সিবেসিয়াস গ্রন্থি
মুখ,কান,বুক,পিঠ,চোখের পাতা ,মাথার ত্বক এই সব স্থানে অধিক পরিমানে অবস্থিত।
আরো পড়ুন:ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে
তবে হাতের তালু ও পায়ের পাতা সহ যেসব স্থানে চুল নেই সেসব স্থানে
সিবেসিয়াস গ্রন্থি থাকে না।সিবেসিয়াস গ্রন্থি ত্বক, চুলের এবং চুলবিশিষ্ট
ত্বকের নিচে অবস্থান করে এগুলোর স্বাভাবিক যত্নে ভূমিকা পালন করে থাকে।
সিবাম কি ও এর উপকারিতা
সিবাম একটি প্রাকৃতিক তৈলাক্ত পদার্থ যা চুলের গন্থিকূপে অবস্থিত।আমাদের
ত্বকের নিচের সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত হয়ে
থাকে।সিবাম ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে
থাকে।সিবাম ত্বকে পাতলা আবরণ তৈরি করে বাইরের ধুলোবালি,ময়লা,জীবাণু থেকে
ত্বককে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত যেয়ে চুলকে হাইড্রেটেড ও চকচকে রাখতে
সাহায্য করে। এটি চুল ভেঙে যাওয়া থেকে ও রুক্ষতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য
করে থাকে।সিবাম আপনার সৌন্দর্য ও ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
কেন অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ হয়
বিভিন্ন কারনে আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ হতে
পারে।সিবেসিয়াস গ্রন্থি অধিক মাত্রায় যখন সক্রিয় হয়ে
যায় ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ হয়ে আপনার মুখে ব্রণ সহ
একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।হরমোন জনিত কারণে যেমন আমাদের শরীরে হরমোনের
মাত্রা বেড়ে গেলে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত তেলযুক্ত, চিনি ও দুধের খাবার খেলেও অতিরিক্ত
সিবাম নিঃসরিত হয়।জেনেটিকগত কারণ যেমন ধরের আপনার বংশের তৈলাক্ত
ত্বকের প্রবৃত্তি থাকলে ও অতিরিক্ত সিবাম নির্গমন হতে
পারে।অধিক কাজের প্রেসার,মানসিক দুচিন্তা,গরম পরিবেশ,আর্দ্র আবহাওয়ায়ও
কিন্তু অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণের কারণ হতে পারে।
আবার বেশি বেশি ভুল উপায়ে রূপচর্চা ,বার বার মুখ ধোয়া,অতিরিক্ত স্ক্রাব করার
কারণে ত্বক শুকিয়ে যায় ফলে ত্বক রক্ষার জন্য অতিরিক্ত
প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ করা শুরু করে দেয়।সঠিক উপায়ে ও নিয়ম মেনে
ত্বকচর্চা , স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত
তেল নিঃসরণ কমানো সম্ভব।
সিবাম নিয়ন্ত্রণে করণীয়তা
ত্বকের সুস্থতার জন্য সিবামের নিঃসরণের মাত্রা ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
না হইলে আপনার ত্বকের পিম্পলসহ নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।সঠিক নিয়ম মেনে
দিনে সর্বচ্চ ২বার অয়েল ফ্রি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার
করুন।কারণ অতিরিক্ত পরিষ্কার করলে ত্বক নিজেকে সুরক্ষা দেওয়ার
জন্য অতিরিক্ত প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ করে থাকে।
আমাদের অনেকেরই একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হয় না।আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে আপনার
অরশ্যই অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।এতে আপনার ত্বক হাইড্রেট
থাকবে এবং সিবামের নিঃসরণের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এবং আপনার উচিত ফাস্টফুড, চর্বি, ভাজাপোড়া, চিনি, দুধের খাবার যতটা
সম্ভব এড়িয়ে চলা।এই অভ্যাসটি আপনার ত্বকের পাশাপাশি শরীরকেও
সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই অয়েল ফ্রি
অথবা ম্যাট ফিনিশ জাতীয় সানস্ক্রিন মেখে বাইরে যাওয়া।মানসিক
ও কাজের চাপ যতসম্ভব কম নেওয়া।
অতিরিক্ত দুচিন্তা,কাজের স্ট্রেসের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে
থাকে।এমনকি আপনার ত্বক থেকে অতিরিক্ত প্রাকৃতিক তেলও নিঃসরণ হতে
পারে।সেজন্য আমাদের সবার নিয়মিত সঠিক পরিমানে পানি পান করা এবং পর্যপ্ত
ঘুমানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ত্বকের যত্নে সিবেসিয়াস গ্রন্থির গুরুত্ব
Sebaceous glands ত্বকের নিচের একটি নিঃসরণকারী গ্রন্থি যা আপনার ত্বকের
প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ করে ত্বককে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য
করে থাকে। ত্বকের ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সিবেসিয়াস
গ্রন্থির গুরুত্ব অপরিসীম।আসুন বিস্তারিত জানি।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে
সিবাম ত্বকের উপর একটি স্তর তৈরি করে যেটি ত্বকের শুষ্কতা হওয়া
থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের সুরক্ষক
সিবাম ত্বকে একটি আবরণ তৈরি করে যা
আমাদের ত্বককে ব্যাকটেরিয়া,ধুলোবালি,দূষণ,জীবাণু
থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে
সিবাম আমাদের ত্বককে সূর্যের অতিক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করতে
সহায়তাও করে।সিবামের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
উপাদান সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
সিবেসিয়াস গ্রন্থি ত্বকের নিচে প্রাকৃতিক তেল সিবাম সরবরাহ
করে ত্বককে মসৃণ রাখে এবং চুলকে নরম,স্বাস্থ্যবান রাখতে
সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধ করে
ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরিত হলে ব্রণের প্রবনতা বেড়ে
যায়।মুখে অতিরিক্ত ব্রণ উঠা শুরু হয়।সিবেসিয়াস গ্রন্থি
সিবাম নিঃসরণের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ অতিরিক্ত বেশি অথবা অতিরিক্ত কম দুটিই
ত্বকে জন্য বেশ ক্ষতিকারক।ত্বকের সুস্থ্যতার জন্য
তাই সিবেসিয়াস গ্রন্থির স্বাভাবিক কাজ করার গুরুত্ব অপরিসীম।
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া কি
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া ত্বকের এমন একটি পরিস্থিতি যখন
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া হয় সিবেসিয়াস গ্রন্থি স্বাভাবিকের চাইতে বড়
হয়ে যায়।ত্বকে ছোট ছোট নরম,হলুদাভাব অথবা ত্বকের কালারের বাম্প সৃষ্টি
হয়।
এটির আকার ১-৫মিমি ব্যাস পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং মাঝে ছোট গর্ত
থাকে।নাক,থুতনি,গলা,কপাল এক কথায় যেখানে সিবেসিয়াস গ্রন্থি বেশি সেসব
স্থানে সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া বেশি দেখা যায়।তবে এটি
সাধারণত ক্যান্সারজনিত নয়।
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়ার কারণ ও লক্ষণ
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়ার কারণ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে সিবেসিয়াস গ্রন্থির কার্যকারিতা ও গঠন পরিবর্তিত হতে
থাকে ফলে ৪০এর বেশি বয়সের মানুষদের মধ্যে সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া
বেশি দেখা যায় ।আবার genetic কারণেও এটি হয়ে থাকে।আমাদের
শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে সিবেসিয়াস
গ্রন্থির সাইজ বেড়ে যেয়ে সিবাম নিঃসরণও বেড়ে যায় যার
ফলে সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া দেখা দিতে পারে।
দীর্ঘসময় রোদে থাকার কারণে সিবেসিয়াস গ্রন্থির কোষ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং
ত্বকে সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া দেখা দিতে পারে।ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে
এমন প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণ সিবেসিয়াস গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যক্রমে
বাধা পেয়ে গ্রন্থি বড় হয়েও হাইপারপ্লাসিয়া হতে পারে।
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়ার লক্ষণ
- ১-৫মিমি ব্যাস বিশিষ্ট
- ছোট ছোট নরম
- হালকা হলুদ অথবা ত্বকের কালারের ফোঁড়ার মত
- ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় হতে দেখা যায়
- মুখে সাধারণত বেশি দেখা যায়
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়ার প্রতিরোধের উপায়
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া সাধারণত চিরস্থায়ী।কিন্তু নিয়মিত সঠিক নিয়মে
ত্বকের যত্ন ও সঠিক অভ্যাসের মাধ্যমে হাইপারপ্লাসিয়ার ঝুঁকি অনেকটাই
কমাতে পারে।যাদের তৈলাক্ত ত্বক,বংশগত প্রবণতা আছে তাদের জন্য
প্রতিরোধমূলক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অয়েল ফ্রি,ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে না এমন পণ্য ব্যবহার করার চেষ্টা
করুন।নিয়মিত সঠিক নিয়মে দিনে অত্যন্ত ২বার অয়েল
ফ্রি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার মাধ্যমে ত্বক পরিষ্কার রাখার
চেষ্টা করুন।কিন্তু অবশ্যই বেশি বেশি মুখ ধোয়া থেকে বিরত থাকুন
কারণ অতিরিক্ত মুখ ধোয়ার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে
এবং ত্বককে রক্ষা করার জন্য অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরিত হতে
থাকে।
বাইরে যাওয়ার সময় সূর্যের UV রশ্মি থেকে রক্ষার জন্য অয়েল
ফ্রি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।সূর্যের UV রশ্মি হাইপারপ্লাসিয়ার
ঝুকি বাড়িয়ে দেয়।পুষ্টিকর ও স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস খাদ্যাভ্যাস গড়ে
তোলার চেষ্টা করুন। মুখে অতিরিক্ত স্ক্রাবিং,
অধিক স্কিনকেয়ার সিবেসিয়াস গ্রন্থিকে বেশি সক্রিয় করে
তোলে তাই সঠিক নিয়ম মেনে স্কিনকেয়ার করুন।সপ্তাহে ২বার স্ক্রাবই
যথেষ্ট।
সেবেসিয়াস হাইপারপ্লাসিয়া পুরোপুরি প্রতিরোধ হয় না তবে সচেতন অভ্যাস
গড়ার মাধ্যমে হাইপারপ্লাসিয়ার ঝুকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।ত্বকের সুযোগ্য
পরিচর্যা,সঠিক পণ্য ব্যবহার,রোদ থেকে সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই এর
প্রধান প্রতিরোধের উপায়।
শেষ মন্তব্য:সিবেসিয়াস গ্রন্থি-ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণকারী গ্রন্থি
সিবেসিয়াস গ্রন্থি মানবদেহের ত্বকের প্রাকৃতিক রক্ষাক বলা
যায়।সিবেসিয়াস গ্রন্থি আমাদের শরীরের ভেতরে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে
কাজ করে তাই এর কার্যক্ষমতা যেন ঠিক থাকে সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে
হবে।
সতর্কতা,সচেতনতা ও যত্নের মাধ্যমেই সিবেসিয়াস
গ্রন্থির কার্যক্ষমতা যথাযথ রাখা সম্ভব।আপনার প্রাণবন্ত
ও উজ্জ্বল ত্বকই আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে সাহায্য
করবে।সুস্বাস্থ্যই সুখের মূল।আশাকরি আমার এই লিখাটির
মাধ্যমে আপনারা সিবেসিয়াস গ্রন্থি সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনেছেন।নিজের ত্বকের যত্ন নিন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url