মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
এই ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে শুয়ে সহজেই আমরা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয়,অনলাইনে
ট্রেনের টিকিট কাটার সময় সহ আরোও বিভিন্ন সেবা পেয়ে থাকি।মোবাইলে ট্রেনের টিকিট
কাটার নিয়ম সম্পর্কে এখনো অনেকেই অবগত না।
আগে যেখানে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অগণিত সময় ধরে ট্রেনের টিকিট
কিনতে হতো সেখানে এখন মাত্র কয়েক মিনিটেই মোবাইল ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কাটা
সম্ভব।এই ব্লগে আমরা মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্বন্ধে ধাপে ধাপে
আলোচনা করব।চলুন তাইলে পুরো প্রক্রিয়াটি জেনে নেওয়া যাক ।
পেজ সূচিপত্র:মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
- মোবাইলে ট্রেন টিকিট কাটার সুবিধা
- Rail Sheba অ্যাপ দিয়ে টিকিট কাটার নিয়ম
- eticket ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কেনার নিয়ম
- Bkash অ্যাপ দিয়ে ট্রেনের টিকিট বুকিং পদ্ধতি
- রেজিস্ট্রেশন ও NID ভেরিফিকেশন কেন প্রয়োজনীয়
- মোবাইলের ট্রেনের টিকিট কাটার চার্জ কত
- টিকিট বুকিংয়ের বিধিনিষেধ ও সময়সীমা
- টিকিট Cancellation ও রিফান্ডের নিয়মাবলি
- টিকিট কাটাতে ভুল করলে করণীয়
- মোবাইলে ট্রেন টিকিট কাটার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
- লেখকের মন্তব্য:মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
মোবাইলে ট্রেন টিকিট কাটার সুবিধা
বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের জন্য এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন।এখন
মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই ট্রেনের টিকিট কাটা যায়।মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার
নিয়ম জানলে ঘরে বসে সহজেই কয়েক মিনিটেই স্টেশনের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা
ছাড়ায় টিকিট কাটা যায়।
যা আপনার যাতায়াত খরচ ও সময় দুইটাই বাঁচতে সাহায্য করে।অনলাইনে আপনি যেকোনো
সময় টিকিট কাটাতে পারবেন এবং সহজেই বিকাশ, নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে
পারবেন। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে টিকিট হারানোর ভয় নেই কারণ টিকিট ডিজিটালি
সংরক্ষিত থাকে।
Rail Sheba অ্যাপ দিয়ে টিকিট কাটার নিয়ম
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম থেকে জানবো মোবাইল দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল অ্যাপ Rail Sheba ব্যবহার করে কিভাবে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।এজন্য আপনার মোবাইলের Google Play
Store থেকে
Rail Sheba
অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।
এরপর অ্যাপটি ওপেন করে আপনার মোবাইল নম্বর, NID ও NID কার্ডের জন্মতারিখ এবং
একটি strong পাসওয়ার্ড, আপনার এলাকার পোষ্টঅফিসের কোড ও Address দিয়ে
রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এরপর ভ্রমণের তারিখ, ট্রেনের নাম, ক্লাস যেমন স্নিগ্ধা, শোভন নির্বাচন করে সিট
খালি আছে কিনা তা যাচাই করতে পারবেন এবং টিকিট বুক করতে পারবেন। এরপর পেমেন্ট
অপশন থেকে বিকাশ, নগদ, রকেটের ,ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
পেমেন্ট সম্পূর্ন হলে আপনি একটি ই টিকিট পেয়ে যাবেন যেটি অ্যাপ থেকেই ডাউনলোড
অথবা স্ক্রিনশটা নিয়ে রাখতে পারেন। ভ্রমণের দিনে সেটি প্রিন্ট করে অথবা
মোবাইলে দেখিয়ে ট্রেনের টিটিকে দেখাতে পারবেন এবং নিচিন্তে ভ্রমন করতে
পারবেন।
eticket ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কেনার নিয়ম
বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
eticket থেকে ঘরে বসেই খুব
সহজে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়।ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নতুন একাউন্ট তৈরি করতে
হয়। সেজন্য Sign Up অথবা registration অপশনে ক্লিক করে আপনার নাম,
মোবাইল নম্বর, ইমেইল, পাসওয়ার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র,জন্মতারিখ দিয়ে
রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এরপর মোবাইল নাম্বরে আসা OTP দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। একবার একাউন্ট
তৈরি হলে পরবর্তীতে শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে Log In করতে
পারবেন এবং google এ পাসওয়ার্ড সেভও করে রাখতে পারবেন ।
আরোও পড়ুন:বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
লগইন করার পর From ও To স্টেশন বাছাই করে যাত্রার তারিখ ও ট্রেনের শ্রেণি
যেমন: শোভন, এসি চেয়ার, স্নিগ্ধা নির্বাচন করে Search Trains এ ক্লিক করলে
নির্ধারিত দিনে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর তালিকা দেখা যাবে।
পছন্দমতো ট্রেন সিলেক্ট করে আসন সংখ্যা সিলেক্ট করে continue purchase বাটনে
ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে একটি OTP যাবে OTP দেওয়ার পর আপনি সহ আপনার সাথে
যারা যাবে তাদের নাম, বয়স, লিঙ্গ, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন
নম্বর দিয়ে তথ্য পূরণ করতে হবে।একজন একবারে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কাটতে
পারবে।
এরপর একটু নিচের দিকে গেলে Payment অপশন দেখা যাবে।সেখানে গিয়ে বিকাশ, নগদ,
রকেট অথবা ডেবিট,ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন। পেমেন্ট সফল
হলে টিকিট ডাউনলোড অপশন আসবে এবং টিকিট ডাউনলোড করতে পারবেন।যাত্রার সময়
টিকিট প্রিন্ট করে অথবা মোবাইলে দেখালেই যথেষ্ট।
eticket ওয়েবসাইট এ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টিকিট কেনা যায়।
সাধারণত যাত্রার ১০ দিন আগেই টিকিট কাটা যায় এবং আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে
টিকিট বাতিলও করতে পারবেন।
Bkash অ্যাপ দিয়ে ট্রেনের টিকিট বুকিং পদ্ধতি
বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন টিকিট কাটার পদ্ধতিকে যুক্ত হয়েছে বিকাশ
অ্যাপ।আপনার মোবাইলে থাকা বিকাশ অ্যাপটি খুলুন এবং একটু scroll করে নিচে
নামুন এবং Ticket & Travel অপশনটি সিলেক্ট করতে হাবে।
এরপর Train তারপর Bangladesh Railway অপশনে ক্লিক করতে হবে তাহলে Bangladesh
Railway এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। এরপর From Station এবং To
Station যাত্রার তারিখ, ট্রেনের শ্রেণি যেমন শোভন, এসি চেয়ার, স্নিগ্ধা
নির্ধারণ করে সার্চ ট্রেন বাটোনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত তারিখে চলাচল কারি ট্রেনের তালিকা আপনাকে
দেখাবে। আপনি যেকোনো একটি ট্রেন নির্বাচন করে সিট পছন্দ করতে পারবেন।ট্রেন ও
সিট বাছাইয়ের পর আপনার নাম, বয়স, লিঙ্গ, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন
নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলে Proceed to Pay এ ক্লিক করতে হবে।
এভাবে আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি পেমেন্ট করতে পারবেন।পেমেন্ট
কনফার্ম হলে একটি ই টিকিট দেখতে পারবেন।এই প্রক্রিয়ায় আপনি কোনো ওয়েবসাইটে না
গিয়েও শুধুমাত্র বিকাশ অ্যাপের সাহায্যে সহজে, দ্রুত এবং নিরাপদে ট্রেনের
টিকিট কাটতে পারবেন।
রেজিস্ট্রেশন ও NID ভেরিফিকেশন কেন প্রয়োজনীয়
এক আইডি থেকে একবারে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কাটতে পারবে। অনেক সময় দেখা যায় এক
ব্যক্তি একাধিক ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে একসঙ্গে বহু টিকিট কিনে তা পরে বেশি দামে
ব্লাকে বিক্রি করছে। রেজিস্ট্রেশন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যাচাইয়ের মাধ্যমে
কালোবাজারি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রতিটি NID দিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিট নির্ধারণ করা থাকায় এক NID একাধিকবার
ব্যবহার সম্ভব হয় না।এছাড়া যেকোনো দুর্ঘটনা,বিশেষ পরিস্থিতিতে রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি যাত্রীর পরিচয় তথ্য নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।NID
যাচাইয়ের মাধ্যমে যাত্রীর নাম,ঠিকানা ইত্যাদি সঠিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
আপনি অনলাইনে টিকিট কাটলে আপনার সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। রেজিস্ট্রেশন থাকলে
একাউন্ট রিকভার, টিকিট ট্র্যাক, বাতিল, রিফান্ড জাতীয় সকল সমস্যা সমাধান সহজ
হবে এমণকি পেমেন্ট সংক্রান্ত নিরাপত্তাও নিশ্চিত থাকবে।
মোবাইলের ট্রেনের টিকিট কাটার চার্জ কত
অনলাইন অ্যাপ Rail Sheba,eticket ওয়েবসাইট , বিকাশ অ্যাপ দিয়ে ট্রেনের টিকিট
কাটলে মূল ভাড়ার সঙ্গে একটি অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হয়ে থাকে।প্রতিটি
আসনের জন্য সার্ভিস চার্জ ২০ টাকা। অর্থাৎ আপনার একটি ট্রেনের টিকিটের ভাড়া যদি
৫৬০ টাকা হয় তাহলে সার্ভিস চার্জসহ মোট ৫৮০ টাকা আপনাকে দিতে হবে।
এই চার্জটি সকল শ্রেণির টিকিটের জন্য সমান।আপনি বিকাশ অ্যাপ থেকেও যদি
Train Ticket কাটেন তখনও প্রতিটি টিকিটের জন্য এই একই পরিমাণ সার্ভিস
চার্জ আপনাকে দিতে হবে।কারণ এই চার্জটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে নির্ধারিত।
টিকিট বুকিংয়ের বিধিনিষেধ ও সময়সীমা
বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট কাটার সময় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা
পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।প্রতিটি একাউন্ট দিয়ে একবারে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কাটা
যায়।যাত্রার ১০ দিন আগে টিকিট বুকিং সিস্টেম চালু হয়।
অর্থাৎ আপনি যদি ১৫ জুলাই যাত্রা করতে চান তাহলে ৫ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই
এর টিকিট কাটতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট বুক করার পর ১৫ মিনিট এর মধ্যে
পেমেন্ট না করলে সেই টিকিট বাতিল হয়ে যাবে এবং আবার নতুন করে বুক করতে হবে।
টিকিট Cancellation ও রিফান্ডের নিয়মাবলি
ট্রেনের টিকিট কাটার পর আপনি যদি কোনো কারণে যেতে না পারেন তাহলে নির্ধারিত
সময়ের মধ্যে সেই টিকিট বাতিল করতে পারবেন।এমনকি টাকাটও রিফান্ড হয়ে থাকে
টিকিট বাতিল করার ২৪ঘন্টা অথবা ৫দিন পর।
টিকিট রিফান্ডের নিয়মাবলি
আপনি যেই অনলাইনে eticket ওয়েবসাইটে অথবা Rail Sheba অ্যাপ দিয়ে টিকিট কেটবেন
সেখান থেকেই টিকিট ক্যানসেল করতে হবে।যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা অথবা তার আগে
টিকিট বাতিল করলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান চার্জ দিতে হয়।
এসি ক্লাসের জন্য ৪০ টাকা, প্রথম শ্রেণির জন্য ৩০ টাকা এবং অন্যান্য
শ্রেণির জন্য ২৫ টাকা নির্ধারিত। টিকিট বাতিলের পর নির্দিষ্ট পরিমান
চার্জ কেটে বাকি অর্থ আপনাকে ফেরত দেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আপনি যদি যাত্রার
৪৮ ঘণ্টার কম কিন্তু ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আগে টিকিট ক্যানসেল করেন
তাহলে ভাড়ার ২৫ শতাংশ কেটে বাকি অর্থ আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে।
আবার ২৪ ঘণ্টার কম কিন্তু ১২ ঘণ্টার বেশি সময় আগে ক্যানসেল করলে ৫০ শতাংশ এবং
১২ ঘণ্টার কম কিন্তু ৬ ঘণ্টার বেশি সময় আগে ক্যানসেল করলে ৭৫ শতাংশ কেটে বাকি
টাকা আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে।তবে আপনি যাত্রার ৬ ঘণ্টার কম সময় আগে যদি
টিকিট বাতিল করেন সে ক্ষেত্রে কোনো রিফান্ড পাবেন না।
স্টেশন থেকে কাটা টিকিট বাতিল করতে চাইলে নির্ধারিত রেলস্টেশনে গিয়ে টিকিটসহ
আবেদন করতে হয় এবং সে ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময় ও ফি প্রযোজ্য থাকে। টিকিট
বাতিলের সময় অবশ্যই NID সঙ্গে রাখতে হবে।টিকিট বাতিল ও রিফান্ড পেতে গেলে
অবশ্যই টিকিটটি বৈধ এবং যাত্রার আগেই বাতিল করতে হবে।
টিকিট Cancellation এর নিয়ম
প্রথমে আপনি যে মাধ্যমে যেমন eticket ওয়েবসাইটে অথবা Rail Sheba অ্যাপে দিয়ে
টিকিট কেটেছেন সে মাধ্যমে মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।লগইন করার
পর হোমপেজে My Tickets নামে একটি অপশন আছে সেখানে ক্লিক করে আপনার কাটা
টিকিটের তালিকা দেখতে পারবেন।
এরপর Cancel Ticket নামে একটি বাটন আসবে ।
Cancel বাটনে ক্লিক করার পর একটি varification code আসবে আপনার দেওয়া ফোন
নাম্বারে।
এরপর refund in process বাটনে ক্লিক করলেই আপনার কাজ শেষ।আপনার টিকিট
ক্যানসেল হয়ে গেলে রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট চার্জ কেটে বাকি টাকা ৭-১০
কার্যদিবসের মধ্যে আপনার বিকাশ,নগদ,ব্যাংক একাউন্ট যে মাধ্যম দিয়ে আপনি পে
করেছেন সেখানে চলে আসবে।
টিকিট কাটাতে ভুল করলে করণীয়
যদি আপনি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় ভুল করে ফেলেন যেমন: ভুল তারিখ,
ভুল স্টেশন, ভুল যাত্রীর তথ্য,ভুল শ্রেণি তাহলে যত দ্রুত সম্ভব টিকিট বাতিল
করতে হবে। যদি যাত্রার ৬ ঘণ্টার বেশি সময় বাকি থাকে তাহলে আপনি My Tickets এ
গিয়ে সেই টিকিটটি ক্যানসেল করতে পারবেন।
টিকিটটি ক্যানসেল হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ কেটে আপার টাকা রিফান্ড হয়ে
যাবে।এরপর আপনি সঠিক তথ্য দিয়ে আবার নতুন করে টিকিট কাটতে পারবেন।কিন্তু যদি
আপনি যাত্রার ৬ ঘণ্টার কম সময় আগে ভুলটি ধরতে পারেন তাহলে আপনার টিকিট
ক্যানসেলেশনও হবে না আবার টাকাও রিফান্ড হবে না।
ভুল NID নম্বর, নাম, মোবাইল নম্বর দিলে টিকিট কাটলে টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রেও
সমস্যা হতে পারে কারণ আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে এসব তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়। তাই
টিকিট কাটার সময় প্রতিটি তথ্য খুব ভালোভাবে সর্তকতার সাথে দেওয়া উচিত।মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম হলো স্মার্টফোনে Rail Sheba অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইনে টিকিট কেনা যায়।
মোবাইলে ট্রেন টিকিট কাটার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম থেকে আমরা জানলাম টিকিট কাটার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল অ্যাপ Rail Shebaঅথবা
ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন। অবশ্যই
নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঠিক তথ্য প্রদান করুন কারণ ভুল তথ্য দিলে সমস্যা
হতে পারে।
টিকিট কাটার পর স্ক্রিনশট অথবা PDF কপি সংরক্ষণ করে রাখুন।টিকিট
সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা হইলে এটি আপনাকে সাহায্য করবে।যে কোনো ছুটির আগে যেমন
ইদের,পূজার আগের টিকিট,জনপ্রিয় ট্রেনের টিকিট কমপক্ষে ৫-৭দিন আগে কাটার চেষ্টা
করুন।
পেমেন্ট করার পর যেনো কোনো সমস্যায় পরতে না হয় সেজন্য রেফারেন্স নম্বর সংরক্ষণ
করে রাখুন যানো কাস্টমার কেয়ার থেকে সমস্যা হইলে সাহায্য নিতে
পারেন।সকাল অথবা রাতে টিকিট কাটার চেষ্টা করুন এই সময়গুলোতে সার্ভারের ওপর চাপ
কম থাকে।
টিকিট কাটার পর আনার নাম, গন্তব্য,ভ্রমনের তারিখ ও ট্রেন নম্বর অবশ্যই চেক
করুন।অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় এসব পরামর্শ মেনে চললে আশাকরি আপনার
অভিজ্ঞতা হবে ঝামেলামুক্ত।
লেখকের মন্তব্য:মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এখন অনলাইনে ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটা
সম্ভব।যা নিঃসন্দেহে আমাদের সময় ও ভোগান্তি কমাতে সাহায্য করে থাকে।Rail Sheba
অ্যাপ,eticket ওয়েবসাইট, এমনকি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং এর সুবিধা
আমাদের ট্রেনযাত্রাকে সহজ, আধুনিক ও নিরাপদ করেছে।
তবে সঠিক তথ্য প্রদান, সময়সীমা মেনে টিকিট কাটা এবং ভুল হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জেনে সঠিক নিয়মে টিকিট
কাটলে আপনার রেলযাত্রা হতে পারে ঝামেলামুক্ত ও আনন্দদায়ক।ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url