লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫।ভ্রমণ গাইড
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে প্রশ্নটি এখন অনেক ভ্রমণপ্রেমী বাংলাদেশীর
মনে।ইউরোপের অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং তুলনামূলক কম
খরচের জন্য লিথুনিয়া হয়ে উঠছে বেশ জনপ্রিয়।আপনি যদি ইউরোপের শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও
সাংস্কৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে চান তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য।
এই লিখাতে আপনি জানতে পারবেন ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স,এয়ার
টিকিট,আবাসন ব্যয়, বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং ২০২৫ সালের
আপডেটেড বাজেট প্ল্যান।
পেজসূচিপত্র:লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫।ভ্রমণ গাইড
- ইউরোপের শান্ত ও সাশ্রয়ী দেশ লিথুনিয়া সম্পর্কে জানুন
- কেন লিথুনিয়া
- বাংলাদেশথেকে লিথুনিয়া যাওয়ার কার্যকর উপায়
- লিথুনিয়ার টুরিস্ট ভিসা আবেদনপ্রক্রিয়া এবং ভিসা প্রসেসিং ফি
- লিথুনিয়ায় কাজের ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়াও খরচ
- লিথুনিয়ায় যেতে স্টুডেন্ট ভিসের আবেদন প্রক্রিয়া ও খরচ
- লিথুনিয়াযেতে প্লেনের ভাড়া কত টাকা লাগে
- পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
- লিথুনিয়ায়হোটেল খরচ ও ঘোরাঘুরির খরচ
- লিথুনিয়া ভ্রমণের সেরা সময়
- লিথুনিয়ায় কোনকাজের ডিমান্ড বেশি এবং লিথুনিয়ায় বেতন কেমন
- কেন লিথুনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিটভিসার জন্য আবেদন করবেন
- লিথুনিয়ায় ট্যুরিস্টদের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপস ওটিপস
- লিথুনিয়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ ও সতর্কতা
- শেষ মন্তব্যঃলিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপের শান্ত ও সাশ্রয়ী দেশ লিথুনিয়া সম্পর্কে জানুন
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা জানাটা যেমন জরুরি ঠিক তেমনি সেই টাকার বিনিময়ে
আপনি কীভাবে স্বপ্ন পূরণ করবেন সেটাও ভাবা দরকার।যখনই ইউরোপ ভ্রমণের কথা আমাদের
মনে আসে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে প্যারিস,লন্ডন বা রোমের ইতিহাস।
কিন্তু এই সবকিছুর বাইরে ইউরোপের উত্তর-পূর্ব রয়েছে এক শান্ত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী
দেশ লিথুনিয়া।Lithuania বাল্টিক অঞ্চলের একটি ছোট্ট মনোমুগ্ধকর দেশ।লিথুনিয়ার
পূর্বে বেলারুশ, দক্ষিণে পোল্যান্ড, উত্তরে লাটভিয়া এবং পশ্চিমে বাল্টিক সাগর
অবস্থিত।
লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস যা একটি পুরানো শহর।এখানকার সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী
হলেও আধুনিক।লিথুনিয়ার ভাষা লিথুনিয়ান।লিথুনিয়ার মুদ্রা ইউরো।দেশটির অর্থনীতি
দ্রুত উন্নয়নশীল এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে চলেছে।লিথুনিয়ার জলবায়ু
ইউরোপীয় সামুদ্রিক জলবায়ুর অধীনে তাই লিথুনিয়ায় গ্রীষ্মকালে মাঝারি উষ্ণ এবং
শীতকালে হালকা শীতল আবহাওয়া।
লিথুনিয়া তার সুন্দর প্রাকৃতি,ঐতিহাসিক দুর্গ এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতির জন্য বেশ
জনপ্রিয়।লিথুনিয়ার ভিলনিয়াস ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যভুক্ত এবং ট্রাকাই দুর্গ
পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।লিথুনিয়া ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য কিন্তু একটি
চমৎকার গন্তব্য হতে পারে।
কেন লিথুনিয়া
লিথুনিয়া ইউরোপের একটি ছোট সুন্দর দেশ। অনেকেই হয়তো এখনো লিথুনিয়ার কথা জানেন
না। কিন্তু যারা একবার লিথুনিয়ায় গিয়েছে তারা বলে লিথুনিয়া শান্ত, সুন্দর
পরিবেশ এবং কম খরচে ভ্রমণের জন্য দারুণ একটি জায়গা।লিথুনিয়া ইউরোপের অন্যতম
নিরাপদ দেশ।অপরাধের হার খুবই কম এবং পর্যটকদের জন্য এটি একটি স্বাচ্ছন্দ্যময়
গন্তব্য।
ইউরোপের অন্যান্য স্থানের তুলনায় লিথুনিয়ায় থাকার, খাওয়ার ও যাতায়াতের খরচ
অনেকটাই কম।লিথুনিয়ার পুরনো শহরগুলোতে আপনি পাবেন মধ্যযুগীয় স্থাপত্য, ঐতিহাসিক
দুর্গ এবং বর্ণিল স্থানীয় সব সংস্কৃতি যা আপনাকে ভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা
দেবে।এছাড়াও ঘন বন, নদী, হ্রদ এবং বাল্টিক সাগর সবকিছু মিলিয়ে লিথুনিয়া প্রকৃতি
প্রেমীদের জন্য কিছুটা স্বর্গসরূপ।
আরোও পড়ুন:ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে।তরুণদের জন্য গাইড
ভিলনিয়াস ও অন্যান্য শহরে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বেশ উন্নত এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর
সাথে যুক্ত থাকার কারণে যাতায়াত সহজ।লিথুনিয়ার মুদ্রা ইউরো হওয়াই ভ্রমণকারীদের
জন্য মুদ্রা বদল ও লেনদেন সহজ হয়।এবং অন্য ইউরোপীয় পর্যটন স্পটের তুলনায় এখানে
ভিড় তুলনামূলক কম থাকে যা আপনাকে আরাম করে স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে
সাহায্য করবে।
লিথুনিয়া ইউরোপ দেশভুক্ত দেশ হওয়ায় লিথুনিয়া থেকে আপনি সহজে ইউরোপের অন্যান্য
দেশগুলোতে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন।সব মিলিয়ে আপনি যদি শান্তি ও সাশ্রয়ী খরচে
ইউরোপ ভ্রমণ করতে চান তাহলেলিথুনিয়া একদম উপযুক্ত একটি জায়গা আপনার জন্য।
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যাওয়ার কার্যকর উপায়
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে এই প্রশ্নের উত্তর জানলেন মানে আপনি ভ্রমণের প্রথম
ধাপটা পার করেছেন। এবার দরকার সঠিক পরিকল্পনা ও সাহসিকতা।লিথুনিয়া একটি শেংগেন
দেশ।শেংগেন দেশ বলতে ইউরোপের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের দেশগুলোকে বোঝানো হয় যেখানে
সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই মানুষ চলাফেরা করতে পারে।বাংলাদেশে সরাসরি লিথুনিয়ার
কোনো নিজস্ব দূতাবাস নেই।ভিসা প্রসেস সাধারণত জার্মান দূতাবাস বা নেদারল্যান্ডস
দূতাবাস এর মাধ্যমে করা হয়।
লিথুনিয়ার ভিসা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সাধারণ কাগজপত্রের প্রয়োজন
হয়।ভিসা আবেদন ফর্ম,পাসপোর্ট,পাসপোর্ট সাইজের ছবি,ফ্লাইট বুকিং,হোটেল
রিজারভেশন,শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট,আপনার পেশার উপর ভিত্তি করে NOC,বিজনেস
লাইসেন্স বা স্টুডেন্ট আইডি।আপনি চাইলে অভিজ্ঞ কনসালট্যান্টের সাহায্য নিতে পারেন
যাতে ভুল না হয়।
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়ার যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। তবে আপনি ঢাকা
থেকে ট্রানজিট ফ্লাইটে লিথুনিয়া যেতে পারবেন।আপনি ঢাকা থেকে ইস্তানবুল থেকে
ভিলনিয়াস,আবার ঢাকা থেকে দোহা থেকে ওয়ারশ থেকে ভিলনিয়াস এবংঢাকা থেকে দুবাই
থেকে রিগা থেকে ভিলনিয়াস ট্রানজিটগুলোর মাধ্যমে যেতে পারবেন।মোটামুটি প্রায়
১২-২০ ঘণ্টা সময় লাগে ট্রানজিটসহ।
লিথুনিয়ার টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং ভিসা প্রসেসিং ফি
বাংলাদেশে সরাসরি লিথুয়ানিয়ার কোনো দূতাবাস নেই তাই বাংলাদেশের ভিসা
প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল এবং ব্যয়বহুল।শেনজেন ভিসার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে
আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে
https://visa.vrm.lt/epm/ .Short term
ভিসার আবেদন ফরমের একাংশের ছবি নিচে দেওয়া হল লিংকটি ওপেন করলে এই পেজটি
আসবে।এবং অবশ্যই পূরণকৃত ফর্মটি সাবমিট করে PDF ফাইল প্রিন্ট করে রাখতে হবে।
ইন্ডিয়ার VFS Global সেন্টারের ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখতে হবে
কারণ সময়মতো স্লট বুক করতে না পারলে ২-৩ সপ্তাহ দেরি হতে পারে।এবং প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র জমা দিতে হয় যেমন পাসপোর্ট, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, প্রিন্টেড
ভিসা ফরম,ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইনকাম ডকুমেন্ট, হোটেলের বুকিং, ফ্লাইট বুকিং,
ট্রাভেল ইন্স্যুরেস, আবেদন ফি জমার রশিদ।
বাংলাদেশী নাগরিকদের অনেক সময় লিথুনিয়া ভিসার জন্য ভারতে অবস্থিত লিথুনিয়ান
দূতাবাসে সরাসরি যেতে হয় বিশেষ করে যখন স্টুডেন্ট, ওয়ার্ক পারমিট বা লং স্টে
ভিসার জন্য আবেদনটি করা হয়।আবেদনকারীদের অবশ্যই নিজে গিয়ে বায়োমেট্রিক অর্থাৎ
fingerprint, photo দিয়ে আসতে হয়।
লিথুয়ানিয়ার ট্যুরিস্ট বা সংক্ষিপ্তমেয়াদী ভিসার ফি ২০২৫ অনুযায়ী বাংলাদেশী
টাকায় প্রায় ১১,০০০-১১,৫০০ টাকা এক্সচেঞ্জ রেট অনুযায়ী। VFS Service Charge -VFS
Global তাদের সার্ভিস চার্জ হিসেবে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৩০০-২৫০০ টাকা নিয়ে
থাকে।আবার ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য india যাওয়ার খরচও রয়েছে।
ঢাকা থেকে দিল্লি যাওয়া আসার ফ্লাইট টিকিট মোটামুটি ২৫,০০০-৩৫,০০০ টাকা।আবার
দিল্লিতে ২ রাত হোটেলে থাকা,খাবার ৮০০০-১২,০০০ টাকা লেগেই যায়।এছাড়াও লোকাল
ট্রান্সপোর্ট ও আনুষঙ্গিক খরচ ৩০০০-৫০০০ টাকা।সরকারিভাবে মোট আনুমানিক খরচ ভিসা
ফি, সার্ভিস চার্জ,ইন্ডিয়া ভ্রমণ ও থাকা সবমিলিয়ে ৫০,০০০-৬৫,০০০ টাকা শুধু ভিসা
প্রসেসিংয়ের জন্য লেগেই যায়।
অনেকেই জটিল হওয়ার কারণে নিজে না করে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেস করেন।
এই পদ্ধতিতে আপনি সরাসরি ভারত না গিয়েও পাসপোর্ট ও ডকুমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে
পাঠিয়ে বায়োমেট্রিক ও আবেদন জমা দিতে পারবেন।ডকুমেন্ট রেডি, ট্রাভেল
ইনস্যুরেন্স, বুকিংসহ ভিসা আবেদনের সব কাজ এজেন্সিই করে দেয়।এজেন্সি সার্ভিস
চার্জ ১৫,০০০-৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।সবকিছুসহ বেসরকারি পদ্ধতির মোট খরচ
৫০,০০০-৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
লিথুনিয়ায় কাজের ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া ও খরচ
বর্তমানে ইউরোপের বৈধভাবে কাজের জন্য লিথুনিয়া বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।দেশটি
দক্ষ ও অদক্ষ উভয় শ্রমিকের নানান কাজের সুযোগ দিচ্ছে যেমন নির্মাণ,কারখানা,
রেস্টুরেন্ট, হোটেল, কৃষি, আইটি ইত্যাদি।বেসরকারি পদ্ধতির জন্য প্রয়োজন D টাইপ
ন্যাশনাল ওয়ার্ক ভিসা যা দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ও কাজের অনুমতি দিয়ে থাকে।
লিথুনিয়ায় কাজের ভিসা পেতে হলে একজন বৈধ লিথুনিয়ান নিয়োগকর্তার থেকে চাকরির
অফার লেটার পেতে হবে।নিয়োগকর্তা লিথুনিয়ায় Migration Department এর কাছে আপনার
জন্য Work Permit আবেদন করবে।অনুমোদন পেলে তারা আপনাকে একটি Work Permit Approval
Letter পাঠাবে।Letter পাওয়ার পর আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ভারতে যেয়ে
কারণ বাংলাদেশে লিথুনিয়ার দূতাবাস নেই।
ভারতে লিথুনিয়ান দূতাবাস থাকায় আপনাকে ভারতে যেয়ে আবেদন করতে হবে।এর জন্য প্রথমে
VFS Dhaka তে ডকুমেন্ট যেমন মেয়াদসহ বৈধ পাসপোর্ট,২টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,কাজের
অফার লেটার, Work Permit Approval Letter, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট,
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট, ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স, নিজের ব্যাংক
স্টেটমেন্ট, ভারতীয় ভিসা ও ট্রাভেল বুকিং ডকুমেন্টস জমা দিয়ে ভারতীয় ভিসা করে
দিল্লি যেতে হবে।
আরোও পড়ুন:ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার।প্রাকৃতিক ঘরোয়া সমাধান
এরপর দিল্লিতে নির্ধারিত তারিখে সরাসরি দূতাবাসে গিয়ে পাসপোর্ট ও বায়োমেট্রিক
জমা দিতে হয়।ভিসা এপ্রুভ হলে পাসপোর্টে D টাইপ স্টিকার লাগানো হয় এবং আপনি তখন
লিথুনিয়া যাত্রা করতে পারেন।এছাড়া সরকারি পদ্ধতি বা Government to Government
সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়
এবং BMET এর মাধ্যমে নিয়োগ
সরকারি অনুমোদিত হওয়ায় কোনো প্রকার দালাল বা অবৈধ মাধ্যমের প্রয়োজন নেই।
ভিসা, কাজ, থাকা, বেতন সবকিছু নির্ধারিত থাকে।সরকারি পর্যবেক্ষণে প্রক্রিয়া
সম্পন্ন হয় বলে খরচ তুলনামূলক কম হয়।সরকারি ভাবে নিবন্ধন করার ওয়েবসাইট
www.bmet.gov.bd.বিজ্ঞপ্তিনের জন্য সরকারি
নোটিশ গুলোর উপর লক্ষ্য রাখতে হবে।সরকারি প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণ
শেষে ভিসা প্রসেস শুরু হয়।
লিথুনিয়া যাওয়ার খরচ মোটামুটি তুলনামূলক অনেকটাই কম কিন্তু জটিল।রেজিস্ট্রেশন ফি
১০০০-২০০০ টাকা,মেডিকেল, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ৫০০০ - ১০,০০০ টাকা,ট্রাভেল ও ভিসা
ফি অনেক সময় নিয়োগকর্তা বহন করে থাকে সব মিলিয়ে আনুমানিক মোট খরচ২০,০০০ -
৩০,০০০ টাকা হয়ে থাকে।
লিথুনিয়ায় যেতে স্টুডেন্ট ভিসের আবেদন প্রক্রিয়া ও খরচ
লিথুনিয়া ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের একটি আধুনিক ও নিরাপদ দেশ, যেখানে ইউরোপীয় মা
নের উচ্চশিক্ষা পাওয়া যায় তুলনামূলকভাবে কম খরচে।বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী
শিক্ষার্থী সেখানে ব্যাচেলর, মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করে থাকে।অনলাইনের
মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হয়।
জনপ্রিয় কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও ওয়েবসাইট এর লিংক Vilnius University -
https://www.vu.lt ,Kaunas University of
Technology - https://www.ktu.edu,Mykolas
Romeris University -
https://www.mruni.eu .আবেদন এপ্রুভ হলে
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Admission Letterপাওয়ার পর ভিসা আবেদন প্রস্তুত করতে
হবে।বাংলাদেশে লিথুনিয়ার দূতাবাস না থাকায় D টাইপ ন্যাশনাল ভিসা আবেদন করতে হয়
ভারতে অবস্থিত লিথুনিয়ান দূতাবাসে।
এর আগে আপনাকে ভারতীয় ভিসা নিতে হবে এবং VFS Global Dhaka থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট
নিতে হবে।এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন-পাসপোর্ট
,Admission Letter,ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স ,ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রমাণস্বরূপ যে আপনি
বছরে €5,000-€6,000 খরচ চালাতে পারবেন, ১ম সেমিস্টারের TUITION FEE পেমেন্ট
স্লিপ,হোস্টেল বুকিং,মেডিকেল সার্টিফিকেট,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট,শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট,Statement of Purpose এবং
ভারতীয় ভিসা ও ট্রাভেল বুকিং ভারতের দূতাবাসে যাওয়ার জন্য।
স্টুডেন্ট ভিসের আবেদন খরচ টিউশন বাদে মোটামুটি আনুমানিক খরচ ১,০০,০০০ -১,৫০,০০০
টাকা।আবেদন ফি ৫০০০ - ১০,০০০ টাকা,D টাইপ ভিসা ফি ১৩,৫০০ - ১৬,০০০ টাকা,ট্রাভেল
ইনস্যুরেন্স ৫০০০ - ৭০০০ টাকা,ভারতীয় ভিসা ও ট্রিপ ২০,০০০ - ৩০,০০০ টাকা,মেডিকেল
ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ৫০০০ - ৮০০০ টাকা,প্রমাণ হিসেবে ব্যাংকে দেখানোর পরিমাণ
€5,000 - €7,000এটা কিন্তু খরচ না,বিমান ভাড়া৫০,০০০ - ৭০,০০০ টাকা।
এছাড়াও মোটামুটি Bachelor's Tuition Fee ২,৫০,০০০ - ৫,৫০,০০০ টাকা এবং Master's
Fee ৩,৫০,০০০ - ৭,৫০,০০০ টাকা।স্টুডেন্ট ভিসায় প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পার্টটাইম
কাজ করার অনুমতি রয়েছে। মাসে €300 - €600 পর্যন্ত উপার্জন সম্ভব যা নিজের খরচের
কিছুটা কাভার করতে সাহায্য করে।
লিথুনিয়া যেতে প্লেনের ভাড়া কত টাকা লাগে
Bangladesh theke Lithuania jete koto tk lage তা নির্ভর করে আপনি কোন সময় ভ্রমণ
করছেন,কোন এয়ারলাইন্সে যাচ্ছেন এবং কোন রুটে ট্রানজিট নিচ্ছেন তার উপর।যেহেতু
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস এ সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই তাই
সাধারণত ট্রানজিটে যেতে হয়।
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যাওয়ার প্লেন ভাড়া অফ সিজনে৬৫,০০০ - ৮৫,০০০ টাকা,অন
সিজন ৮৫,০০০ - ১,২০,০০০ টাকা,স্বল্প সময়ে টিকিট কাটলে ১,২০,০০০ - ১,৫০,০০০
টাকা।অবশ্য কমপক্ষে ২ মাস আগে টিকিট কাটলে খরচ অনেক কম হয়।
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যাওয়ার প্লেনের রুট ঢাকা-ইস্তাম্বুল-
ভিলনিয়াস,ঢাকা-দোহার-ফ্রাঙ্কফুর্ট-ভিলনিয়াস, ঢাকা-দুবাই-ওয়ারশ-ভিলনিয়াস,
ঢাকা-দিল্লি-হেলসিঙ্কি-ভিলনিয়াস।
পাসপোর্ট করতে কত সময় ও টাকা লাগে
Bangladesh e-Passport time and Fees
মেয়াদ |
ডেলিভারির সময় |
ফি |
---|---|---|
৫ বছর,৪৮ পৃষ্ঠার | রেগুলার ১৫-২১ কার্যদিবস,জরুরি ১০ কার্যদিবস,অতীব জরুরি ২ কার্যদিবস | রেগুলার৪,০২৫ টাকা, জরুরি ৬,৩২৫ টাকা, অতীব জরুরি ৮,৬২৫ টাকা |
১০ বছরের ৪৮ পৃষ্ঠার | রেগুলার ১৫-২১ কার্যদিবস,জরুরি ১০ কার্যদিবস,অতীব জরুরি ২ কার্যদিবস | রেগুলার৫,৭৫০ টাকা, জরুরি ৮,০৫০ টাকা, অতীব জরুরি ১০,৩৫০ টাকা |
৫ বছর, ৬৪ পৃষ্ঠার | রেগুলার ১৫-২১ কার্যদিবস,জরুরি ১০ কার্যদিবস,অতীব জরুরি ২ কার্যদিবস | রেগুলার ৬,৩২৫ টাকা, জরুরি ৮,৬২৫টাকা, অতীব জরুরি ১২,০৭৫ টাকা |
নতুন হিসেবে ৪৮পাতার পাসপোর্টই যথেষ্ট কিন্তু পর্যটন ভ্রমণ খুব বেশি হলে ৬৪
পৃষ্ঠা সুবিধাজনক হতে পারে।অনলাইনে
ePassport.gov.bd এ
অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।আবেদন ফরম পূরণ, পাসপোর্ট এর মেয়াদ ও পাতার পছন্দ করতে হবে
এবং ফি প্রদানের পেমেন্ট রিসিট ভালো করে রেখে দিতে হবে।
নির্ধারিত ফি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।নির্দিষ্ট দিনে আবেদন
কেন্দ্রে গিয়ে মূল কাগজপত্র ও রিসিট ,ছবি, বায়োমেট্রিক ও আইরিস স্ক্যান
সম্পূর্ণ করতে হবে।এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে পাসপোর্ট গ্রহণের জন্য মেসেজ পাঠানো
হবে।
লিথুনিয়ায় হোটেল খরচ ও ঘোরাঘুরির খরচ
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে শুধু তা জানলেই হবে না জানতে হবে সেই টাকা কোথায়
এবং কীভাবে খরচ করলে আপনার যাত্রা সফল হবে।আধুনিক জীবনযাপন এবং তুলনামূলক কম
খরচের জন্য বাংলাদেশী পর্যটকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লিথুনিয়া।
কিন্তু লিথুনিয়া ভ্রমণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো হোটেল এবং ঘোরাঘুরির
খরচ কামন হবে?লিথুনিয়ার বড় শহরগুলোতে যেমন ভিলনিয়াস ,কাউনাস এবং ক্লাইপেডা তে
হোটেলের বিভিন্ন রেঞ্জের অপশন রয়েছে।অফ সিজনে হোটেলের খরচ অনেকটাই কমে
যায়।লিথুনিয়াতে হোটেল খরচ তুলনামূলকভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ
সাশ্রয়ী।
হোটেল |
খরচ |
---|---|
হোস্টেল বা ডরমিটরি | ১২৫০ - ২৫০০ টাকা |
একটু ভালো মানের বাজেট হোটেল | ৩১২৫ - ৬২৫০ টাকা |
মধ্যম মানের হোটেল | ৬২৫০ - ১২,৫০০ টাকা |
বিলাসবহুল হোটেলে | ১২,৫০০ - ৩১,২৫০ + টাকা |
লিথুনিয়ায় শহরের মধ্যে ঘোরাঘুরির জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুবই জনপ্রিয় এবং
সাশ্রয়ী। ট্রলি বাস বা শহরের বাসে একবারের খরচ মাত্র ০.৮০ থেকে ১ ইউরোর মধ্যে যা
বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১০০ থেকে ১৩৯ টাকার মত।Bangladeshi takai 1 Euro mane
139.60 tk.
আবার আপনি চাইলে চাইলে ৩ থেকে ৫ ইউরো দিয়ে সারাদিনের জন্য আনলিমিটেড ডে-পাস
কেনারও অপশন রয়েছে।শহরের মধ্যে ট্যাক্সি গাড়িও ভাড়া করারও অপশন রয়েছে যেখানে
প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ০.৬০ থেকে ১ ইউরোর মধ্যে হয়ে থাকে।শহরের বাইরে যেতে
চাইলে ট্রেনে করে খুব সহজে যাতায়াত করা যায়।
দর্শনীয় স্থানগুলোর প্রবেশমূল্যও অনেকটাই নাগালের মধ্যে।একজন সাধারণ বাজেট
পর্যটকের প্রতিদিনের ঘোরাঘুরির খরচ আনুমানিক সবমিলিয়ে ২০ থেকে ৩০ ইউরো অর্থাৎ
২৫০০ থেকে ৩৭৫০ টাকার মতো।যারা একটু আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে চাই তাদের জন্য
দৈনিক খরচ ৪০ থেকে ৬০ ইউরো বা তার বেশি হতে পারে।
লিথুনিয়া ভ্রমণের সেরা সময়
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে এই প্রশ্নের উত্তর জানার পাশাপাশি আপনার প্রস্তুতিও
ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।আপনার লিথুনিয়া ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করার আগে অন সিজন
ও অফ সিজন সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনার খরচ, আবহাওয়া এবং
অভিজ্ঞতা অনেকটাই বদলে যেতে পারে এর ওপর নির্ভর করে।
লিথুনিয়া ভ্রমণের জন্য বছরের সেরা সময় হলো মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত
অর্থাৎ বসন্তের শেষ থেকে গ্রীষ্মকাল এবং শরতের শুরু পর্যন্ত।এই সময়টাকে
লিথুনিয়ার On Season বলা হয়ে থাকে।এই সময়ে আবহাওয়া অনেকটাই মৃদু থাকে যা
ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক।
গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ জুন,জুলাই,আগস্টে লিথুনিয়ার রাস্তাঘাটে উৎসবের আমেজ থাকে এবং
শহরগুলো রঙিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরে ওঠে।এই সময় লিথুনিয়া এক অনন্য রূপ ধারণ
করে।তবে আপনি যদি তুলনামূলক কম খরচে ঘুরতে চান এবং পর্যটকের ভিড় এড়াতে চান
তাহলে মে ও সেপ্টেম্বর মাস দুটি বিশেষভাবে উপযোগী।
আবহাওয়া তখনোও ভালো থাকে কিন্তু হোটেল ও ফ্লাইটের দাম কিছুটা কমে আসে।অন্যদিকে
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকালে এখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে। তাপমাত্রা
অনেক সময় হিমাঙ্কের নিচেও নেমে যায়।নভেম্বর থেকে মার্চ লিথুনিয়ার Off Season.
তবে বরফে ঢাকা প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ক্রিসমাস মার্কেটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে
এই সময়টাতেও আপনি যেতে পারেন।
লিথুনিয়ায় কোন কাজের ডিমান্ড বেশি এবং লিথুনিয়ায় বেতন কেমন
বর্তমানে লিথুনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি উন্নয়নশীল দেশ যেখানে দক্ষ জনবলের
প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।সেখানে বিদেশি কর্মীদের প্রতি আগ্রহ অনেক
বেশি।বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে লিথুনিয়ায়
যাচ্ছেন।
লিথুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন পেশা বিশেষ করে কারখানা ও উৎপাদন খাতে
প্যাকেজিং, মেশিন অপারেটর,ফুড প্রসেসিং।নির্মাণ খাতে ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার,
ওয়েল্ডার, টাইলস মিস্ত্রি।হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী।আইটি ও
সফটওয়্যার ডেভেলপার,ওয়েব ডিজাইনার, ডেটা অ্যানালিস্ট।স্বাস্থ্যখাতে
নার্স,মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
লিথুনিয়ায় বেতনের পরিমাণ আপনার কাজের ধরন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর
করে।লিথুনিয়াতে ন্যূনতম মজুরি প্রায় €900 ইউরোর কাছাকাছি।ওভারটাইম,নাইট ডিউটি
বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করলে অতিরিক্ত বেতন পাওয়া যায়।বৈধ ওয়ার্ক পারমিট
থাকলে এখানকার চাকরি আইনগতভাবে অনেক নিরাপদ।
কেন লিথুনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন
লিথুনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় এখানে কাজ করলে আপনার উন্নত
জীবনযাত্রা, স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এবং ভবিষ্যতে ইউরোপের অন্যান্য দেশে কাজের পথও
উন্মুক্ত হতে পারে।লিথুনিয়ার শ্রমবাজারে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কর্মীর চাহিদা
রয়েছে বিশেষ করে ফ্যাক্টরি, নির্মাণ, হসপিটাল, কেয়ার সেক্টরে।
বেতন তুলনামূলক ভালো এবং নিয়মিত ওভারটাইমের সুবিধাও রয়েছে।ন্যূনতম মাসিক বেতন
€৯০০ ইউরোর মতো হলেও নির্ভরযোগ্য কোম্পানিতে কাজ পেলে মাসে €১২০০-€১৫০০ ইউরো
পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১.৫ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ
টাকা।ওয়ার্ক পারমিট পেলে আপনি লিগ্যালভাবে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পাবেন যা
ভবিষ্যতে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে আপনাকে সাহায্য করবে।
লিথুনিয়া একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য দেশ। ইউরোপের অন্যান্য দেশের
তুলনায় জীবনযাত্রার খরচ কম হওয়ায় আপনি চাইলে সহজেই কিছু টাকা সঞ্চয়ও করতে
পারবেন।এছাড়া লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া তুলনামূলক সহজ এবং দ্রুত।
সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও ভালো।
লিথুনিয়ায় ট্যুরিস্টদের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপস ও টিপস
লিথুনিয়া ভ্রমণে আপনার যাত্রা সহজ, সাশ্রয়ী এবং ঝামেলাহীন করে তুলার জন্য
কয়েকটি দরকারি মোবাইল অ্যাপ ও কিছু বাস্তব টিপস । আপনি যদি প্রথমবারের মতো ইউরোপ
বা লিথুনিয়া সফর করেন তবে এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।
শহর ঘোরার জন্য পথ খুঁজতে এবং লোকেশন সংরক্ষণ করতে
Google Maps.
Bolt
নামের Ride Sharing apps উবারের মতো জনপ্রিয় অ্যাপ, লিথুনিয়ার প্রায় সব শহরে
ব্যবহৃত হয় যা ট্যাক্সির চেয়ে সস্তা এবং নির্ভরযোগ্য।লিথুনিয়ার Public
Transport App
m.Ticket
ভিলনিয়াস ও কাউনাস শহরের পাবলিক বাস,ট্রলি বাসের সময়সূচি, টিকিট কিনতে আপনাকে
সাহায্য করবে।
Google Translate
লিথুয়ানিয়ান ভাষা অনুবাদের জন্য খুবই সহায়ক।সাশ্রয়ী হোটেল বা থাকার জায়গা
খুঁজতে Booking.com।আগেভাগে বুকিং করলে
অনেক ছাড় পাওয়া যায়।ইউরো থেকে টাকায় বা অন্য মুদ্রায় রূপান্তর করতে সহজ
ইউজার ফ্রেন্ডলি অ্যাপ
XE Currency.লিথুনিয়ার ট্যুরিস্ট স্পট, ইভেন্ট, ফেস্টিভাল ও ট্র্যাভেল গাইডের জন্য সরকারী
Official Tourism App
Visit Lithuania.
লিথুনিয়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ ও সতর্কতা
লিথুনিয়া ইউরোপের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ একটি
দেশ।আপনি যেকোনো দেশে ঘুরতে গেলে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা এবং সতর্কতা
মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।হ্যান্ড ক্যাশের চেয়ে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড বেশি
প্রচলিত।তবে ছোট দোকান বা বাসের জন্য কিছু ইউরো ক্যাশ রাখা ভালো।
আরোও পড়ুন:অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন-ঘরোয়া টিপস
লিথুনিয়ার সরকারি ভাষা লিথুয়ানিয়ান তবে তরুণরা ইংরেজি মোটামুটি বোঝে।আপনি যদি
ইংরেজিতে কথা বলার সময় ধীরে বলেন তারা বুঝতে চেষ্টা করে এবং সাহায্য করার চেষ্টা
করে।লিথুনিয়ায় ইউরোপীয় সময় (GMT+2) অঞ্চলে পড়ে।লিথুনিয়ায় ইউরোপীয়
স্ট্যান্ডার্ড টাইপ C বা F প্লাগ ব্যবহৃত হয় তাই ইউরোপিয়ান প্লাগ অ্যাডাপ্টার
নিতে ভুলবেন না।
Telia, Tele2 ও Bite এই তিনটি মোবাইল অপারেটরে অল্প দামে দ্রুতগতির ইন্টারনেট
পাওয়া যায় তাই বেশ জনপ্রিয় ।শীতকালে লিথুনিয়ার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে
যেতে পারে আবার গ্রীষ্মে থাকে ২০-২৫°C সেজন্য কাপড় নির্বাচন করার সময় তা অবশ্যই
খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন।
মাঝে মাঝে পুলিশ চেক করে তাই পাসপোর্ট, ভিসা, আইডি কার্ডের কপি সবসময় সঙ্গে
রাখবেন।নিরাপত্তা ও সাশ্রয়ীর জন্য রাস্তা থেকে হঠাৎ ট্যাক্সি না নিয়ে অ্যাপ
ভিত্তিক সার্ভিস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।হাঁটার সময় ভালো গ্রিপযুক্ত জুতা
ব্যবহার করুন শীতকালে হঠাৎ বরফপাতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যেতে পারে।বিদেশ ভ্রমণের
সময় সতর্কতা মানা মানে হলো ঝুঁকি কমানো এবং অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর ও স্মরণীয় করে
তোলে।
শেষ মন্তব্যঃ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
Lithuania jete koto tk lage তা নির্ভর করে আপনার উদ্দেশ্য, ভ্রমণের ধরন এবং
আপনার জীবনযাত্রার উপর।লিথুনিয়া তার ইউরোপীয় জীবনধারা, নিরাপত্তা, কাজের সুযোগ
এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কারনে বিনিয়োগকে অনেকটাই সার্থক মনে হবে আপনার।
আশা
করি
আমার
এই
লেখার
মাধ্যমে
সম্পর্কে
আপনার লিথুনিয়া
যেতে
কত
টাকা
লাগতে
পারে,
কী
কী
প্রক্রিয়া
আছে,
এবং
কিসে
খরচ
কম
বা
বেশি
হয়
এসব
জানতে
পেরেছেন।এখন
আপনার
তথ্য,
পথ
জানা
তাই
দেরি
না
করে
নিজের
জন্য
পরিকল্পনা
শুরু
করুন।আপনার
স্বপ্ন
একদিন
ঠিকই
পৌঁছাবে
লিথুনিয়ার
সেই
শান্ত
মাটিতে।।আপনার
যাত্রাপথের
জন্য
শুভকামনা
রইল। সুস্থ
থাকুন।ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url