অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন-ঘরোয়া টিপস


আপনি কি যথাযথ ভাবে অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন সম্পর্কে জানেন? আপনি অয়েলি স্কিন দূর করার উপায় খুঁজছেন ?এই লেখাটির মাধ্যমে আপনারা অয়েলি স্কিনের কেয়ার রুটিন,কেয়ার সঠিক নিয়ম,ঘরোয়া সমাধান, এবং যেসব সতর্কতা মেনে চলা উচিত,ডায়েট সহ বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন।
অয়েলি- স্কিন- কেয়ার- রুটিন


তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেকেই হতাশায় ভোগে। কিন্তু সঠিক যত্ন নিলে অয়েলি স্কিনও সুন্দর, পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হতে পারে।ঘরোয়া টিপস আর সঠিক রুটিন মেনে চললে healthy এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব।চলুন কার্যকর উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

পেজ সূচিপত্র:অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন-ঘরোয়া টিপস

অনলি স্কিনের কারণ

অয়েলি স্কিনের কারণ বুঝে সঠিক অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চললে ত্বককে তেলতেলে ও ব্রণ থেকে সহজেই রক্ষা করা সম্ভব।তৈলাক্ত স্কিন আমাদের জীবনে বেশ বিরক্তিকর সমস্যা।যারা এই সমস্যায় ভোগে তারা জানে মুখে সবসময় চকচক ভাব, পোরস বড় হয়ে যাওয়া,ব্রন,ব্ল্যাকহেডস কতটা বিরক্তিকর।তাই অয়েলি স্কিনের কারণগুলো সম্পর্কে জানা জরুরী।

আপনার পরিবারের কারও যদি অয়েলি স্কিন থাকে তাহলে জেনেটিক কারণে আপনারও এমন ত্বক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের ত্বক অয়েলি হলে বুঝতে হবে এটি বংশগত।আমাদের শরীরের তৈলগ্রন্থি কতটা সক্রিয় হবে, তা অনেকাটাই জেনেটিকভাবে নির্ধারিত হয়।

বয়ঃসন্ধি, পিরিয়ড, প্রেগন্যান্সি বা হরমোনাল ইমব্যালান্সের সময় শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে যায় যা তৈল গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল তৈরি করে।আর্দ্র বা গরম পরিবেশে ত্বক থেকে বেশি তেল বের হতে থাকে।আবার অতিরিক্ত চিনি,দুধ,চকলেট বা ফাস্টফুড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।যা আমাদের ত্বককে অয়েলি করে তুলতে পারে।

এছাড়া পানি কম খেলেও স্কিন থেকে বেশি তেল বের হয়ে থাকে।খেয়াল করে দেখবেন আপনি যখন মানসিক চাপ অনুভব করছেন তখন আপনার ত্বক থেকে অতিরিক্ত ওয়েল বের হচ্ছে এটি হরমোনাল কারণে হয়ে থাকে।তাই মানসিক চাপ কমানোও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আবার অনেকে বারবার মুখে স্ক্রাব করে ভাবে এতে তেল কমবে। কিন্তু এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায় তখন ত্বক নিজেকে রক্ষা করতে আরও বেশি তেল বের করতে শুরু করে।অয়েলি স্কিনের সমস্যার সমাধান পেতে হলে প্রথমেই কারণগুলো বুঝতে হবে। কারণ বুঝে সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন গড়ে তুললে ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

অয়েলি স্কিনের জন্য কেন আলাদা কেয়ার প্রয়োজন

অয়েলি স্কিনের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি সহজেই চকচক করে,পোরস বড় হয় এবং খুব দ্রুত ময়লা ও ধুলো আটকে ফেলে।অয়েলি স্কিনের সমস্যা অন্যদের থেকে একেবারেই আলাদা।তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আলাদা কেয়ার দরকার যা অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করবে কিন্তু ত্বককে একদম শুষ্ক করবে না।

আরোও পড়ুন:ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার।প্রাকৃতিক ঘরোয়া সমাধান

অয়েলি স্কিনের Sebaceous gland খুব বেশি তেল উৎপন্ন করে। যা পোরস বন্ধ করে দেয় ফলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস হয়। তাই এমন কেয়ার দরকার যা তেল নিয়ন্ত্রণ করবে কিন্তু ত্বককে একদম শুষ্ক করে দেবে না।সব ধরনের প্রোডাক্ট অয়েলি স্কিনে ব্যবহার করা যাবে না।কারন ভারী জাতীয় প্রোডাক্ট পোরস ব্লক করে দেয়। তাই অয়েল ফ্রি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।

অয়েলি স্কিন ব্রণপ্রবণ।তাই এমন স্কিনকেয়ার রুটিন দরকার যা ত্বক পরিষ্কার রাখবে এবং জীবাণু দূর করবে যানো ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।অনেকে শুধু তেল দূর করতে গিয়ে ত্বক একদম শুকিয়ে ফেলে। তাই সঠিক ময়েশ্চারাইজার ও টোনার ব্যবহার করে স্কিনের আর্দ্রতা ও তেলের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আলাদা যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।কারণ এর সমস্যার ধরন অন্য ত্বকের থেকে আলাদা।সঠিক ভাবে যত্ন নিলে অয়েলি স্কিনও সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ব্রণমুক্ত রাখা সম্ভব।

কিভাবে বুঝবেন আপনার স্কিন অয়েল

ত্বকের ধরন জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ প্রতিটি ত্বকের জন্য আলাদা আলাদা যত্ন দরকার। অনেকেই মনে করেন মুখে সামান্য তেল মানেই অয়েলি স্কিন কিন্তু বিষয়টা এমন না।আপনার স্কিন অয়েলি কিনা সেটা বুঝে সঠিক পণ্য ও রুটিন ব্যবহার না করলে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

চলুন জানি আপনি কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক সত্যিই অয়েলি কিনা।মুখ ধোয়ার ৩০ মিনিট পর যদি আপনার কপাল,নাক,থুতনি ও গাল চকচক করে তাহলে আপনার স্কিন সম্ভবত অয়েলি।একটি টিস্যু মুখে চেপে ধরুন।যদি টিস্যুতে তেলের দাগ স্পষ্ট হয় তাহলে আপনার স্কিন অয়েলি।

অয়েলি স্কিনের পোরস সাধারণত বড় ও স্পষ্ট দেখা যায়।অতিরিক্ত তেল এগুলো প্রসারিত করে দেয়।লক্ষ্য করে দেখবেন যে মেকআপ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে বা গলে যাচ্ছে কি এমনটা অয়েলি স্কিনের কারন।অয়েলি স্কিনে ব্রণ, হোয়াইটহেডস আর ব্ল্যাকহেডসও সহজেই দেখা দেয়।স্কিন বুঝে স্কিনকেয়ার শুরু করলে ত্বক সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখা সম্ভব।

সকালের অয়েলি স্কিন কেয়ারের রুটিন

oily skin care সকালে ঠিকভাবে না নিলে সারাদিন মুখ তেলতেলে ও অস্বস্তিকর লাগে।তাই সকালে ঠিকভাবে রুটিন মানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ মুখ ধুয়ে নিন।এতে রাতের তেল,ময়লা দূর হবে এবং ত্বক ফ্রেশ লাগবে।

অবশ্যই খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত শুকিয়ে ফেলা ক্লিনজার ব্যবহার করবেন না।এতে ত্বক নিজেকে রক্ষার জন্য আরও বেশি তেল তৈরি করে।এরপর অ্যালকোহল ফ্রি টোনার দিয়ে মুখ মুছে নিন।টোনার ত্বকের pH ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে।পোরস ছোট করে এবং অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

গোলাপ জল,গ্রীন টি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ভালো কাজ করে।অনেকে ভাবেন অয়েলি স্কিনে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন নেই।কিন্তু এটা ভুল ধারনা।ওয়াটার-বেসড,জেল টাইপ,অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে ফলে ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে।বাইরে বের হওয়ার আগে অয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

SPF 30 বা তার বেশি সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে সুর্যরশ্মি থেকে রক্ষা করতে এবং তেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।অবশ্যই দিনের জন্য হালকা মেকআপ করতে চাইলে অয়েল ফ্রি প্রাইমার, ম্যাট ফাউন্ডেশন আর সেটিং পাউডার ব্যবহার করুন যাতে মেকআপ সারাদিন টিকে থাকে।এই প্রক্রিয়াগুলো আপনার অয়েলি স্কিনকে দিনভর ফ্রেশ,তেলমুক্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে।

রাতের অয়েলি স্কিন কেয়ারের রুটিন

রাতের বেলায় ত্বকের জন্য সঠিক যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।অয়েলি স্কিনের রাতের রুটিন ঠিকভাবে না মানলে পোরস বন্ধ হয়ে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস সহ তেলতেলে ভাব আরও বেড়ে যেতে পারে। চলুন অয়েলি স্কিনের রাতের কেয়ারের রুটিন সম্পর্কে জানি।

দিনের শেষে প্রথমেই সব মেকআপ ও সানস্ক্রিন তুলে ফেলতে হবে অয়েল ফ্রি মেকআপ রিমুভার দিয়ে।কারন মুখে কিছু রেখে ঘুমালে ত্বক ময়লা আর তেল জমিয়ে পোরস বন্ধ করে দেয়।অবশ্যই আপনাকে মেক আপ রিমুভ না করে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

এরপর অয়েলি স্কিনের জন্য উপযুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।এতে ত্বক পরিষ্কার হবে এবং দিনের ধুলো,ময়লা,তেল দূর হবে।মুখ ধোয়ার পর অ্যালকোহল ফ্রি টোনার দিয়ে মুখ মুছে নিন।টোনার ত্বকের pH ব্যালান্স ঠিক রাখতে এবং পোরস টাইট রাখতে সাহায্য করে।

অনেকে মনে করেন অয়েলি স্কিনে ক্রিম লাগানো ঠিক না কিন্তু অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার বা সিরাম লাগানো অত্যন্ত জরুরী।আবার চোখের চারপাশে ice cube ব্যবহার করলে ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে।

সপ্তাহে ১-২দিন মাস্ক বা হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়,পোরস পরিষ্কার থাকে এবং ত্বক ব্রণমুক্ত রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে।এই প্রক্রিয়াগুলো আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ব্রণমুক্ত রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।তাই যতটা পারবেন নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করবেন।

অয়েলি স্ক্রিনের জন্য ডায়েট

ত্বকের যত্ন বাইরের পাশাপাশি ভেতর থেকেও নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।আপনি জানেন কি,আপনি যা খান তা সরাসরি আপনার স্কিনের ওপর প্রভাব ফেলে?অয়েলি স্কিনের সমস্যায় শুধু ভালো প্রোডাক্টই যথেষ্ট না বরং খাদ্য অভ্যাসও বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।অয়েলি স্কিন কেয়ারের ডায়েট রুটিন সম্পর্কে চলুন জানা যাক।

অয়েলি স্কিন দূর করার উপায় জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে হবে।প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে ।কারন সবুজ শাকসবজি ও ফল মুলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

প্রচুর পরিমাণে পানি বা লিকুইড জাতীয় খাবার খেতে হবে।এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে ফলে ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল বের হয় না ।দিনে অন্তত ৮-১০গ্লাস পানি খাওয়া উচিত।ওমেগা৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন আখরোট, চিয়া সিডস জাতীয় খাবার ত্বকের অতিরিক্ত তেল উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আরোও পড়ুন: খালিপেটে তোকমা খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

আবার হাই ফাইবার জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার ওঠানামা কমায় যা অতিরিক্ত তেল উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে।অন্যদিকে ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার শরীরের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ব্রণ বৃদ্ধি করে।

আবার অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বকের সেবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।সেবেসিয়াস গ্রন্থি ত্বকের নিচের লেয়ারে অবস্থিত।সেবেসিয়াস থেকে সিবাম নামে এক ধরনের তরল নিঃসৃত হয় যা তৈলাক্ত।

অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দুধ বা দুধের খাবার ত্বকের ব্রণ বাড়াতে পারে তাই তাদের পরিমিত পরিমাণে দুধ বা দুধের খাবার খাওয়া উচিত।যাদের অয়েলি স্কিন তাদের উচিত সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য অভ্যাস গড়া।

ওয়েলিং স্কিনের জন্য ময়েশ্চারাইজার

Oily skin ত্বক তেলতেলে এ কারণে আমরা ভাবি তেলতেলে স্কিনে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন নেই।কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা।ময়েশ্চারাইজার শুধু শুষ্ক ত্বকের জন্য না,অয়েলি স্কিনের জন্যও জরুরি। কারণ ত্বকের হাইড্রেশন আর তেল কিন্তু এক জিনিস না।

যখন আমরা ময়েশ্চারাইজার বাদ দিই,ত্বক মনে করে এটা শুষ্ক হয়ে গেছে তখন নিজেই আরও বেশি সেবাম উৎপাদন করতে শুরু করে।ফলে ত্বক আরও বেশি তেলতেলে হয়ে যায়।সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে যা সেবাম মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

অয়েলি স্কিনের জন্য অয়েল ফ্রি ফর্মুলা যুক্ত,জেল বেস বা ওয়াটার বেস,পোরস বন্ধ করবে না,হালকা এবং দ্রুত শোষণ হয়,ম্যাট ফিনিশ,সেবাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।যাতে ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখে এবং সেবাম ব্যালান্স রাখতে সাহায্য করে।ফলে ত্বক হয় ফ্রেশ,ব্রণমুক্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

অয়েলি স্কিনের জন্য সানস্ক্রিন

অনেকেই মনে করেন অয়েলি স্কিনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক আরও তেলতেলে হয়ে যাবে,ঘেমে যাবে বা ব্রণ বেড়ে যাবে। কিন্তু অয়েলি স্কিন হোক বা ড্রাই স্কিন সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। কারণ এটি রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়।ত্বকের কালচে দাগ, পিগমেন্টেশন, ব্রণের দাগ আরও বেশি হওয়া থেকে বাঁচায় এবং ত্বকের দ্রুত বার্ধক্য ঠেকাতে সাহায্য করে।

অয়েলি স্কিনে এমনিতেই সেবাম বেশি উৎপন্ন হয়।যদি ভারি বা ক্রিমি সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তা পোরস ব্লক করে দিতে পারে।ফলে ব্রণ, হোয়াইটহেড, ব্ল্যাকহেড বেড়ে যেতে পারে। তাই এমন সানস্ক্রিন লাগাতে হবে যা অয়েল ফ্রি,ম্যাট ফিনিশ,পোরস বন্ধ করবে না বা হালকা এবং দ্রুত শোষণ হয়।

অয়েলি স্কিনের জন্য ভালো সানস্ক্রিনের বৈশিষ্ট্য হলো SPF 30 বা তার বেশি,PA+++ বা তার বেশি,জেল বেস বা ওয়াটার বেস,অয়েল কন্ট্রোল ফর্মুলা যুক্ত যাতে তেল বের হওয়া কমাতে পারে।অয়েলি স্কিনে সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বের হওয়া মানে রোদে পুড়ে ত্বকের ক্ষতি করা।তাই প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করে নিজের ত্বককে সুরক্ষিত রাখুন।

অয়েলি স্কিনের মেকাপ টিপস

অয়েলি স্কিনের মেকআপ করা মানেই ঝামেলা বিষয়।কিছুক্ষণ পরেই মেকআপ গলে যায়,ত্বক তেলতেলে হয়ে ওঠে।কিন্তু সঠিক কিছু টিপস আর পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সহজেই সারাদিন ফ্রেশ লুক ধরে রাখতে পারবেন।চলুন অয়েলি স্কিনের মেকাপ টিপস সম্পর্কে জানি।

মেকআপের আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর টোনার লাগিয়ে পোরস টাইট করুন।মেকআপ শুরুর আগে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন যাতে ত্বক হাইড্রেট থাকে এবং তেলতেলে না হয়।এরপর প্রাইমার ব্যবহার করুন।প্রাইমার মেকআপ অনেকক্ষণ টিকে রাখতে সাহায্য করে।

প্রাইমার তেল কন্ট্রোল করে ফাউন্ডেশনের বেস ধরে রাখতে সাহায্য করে।ভারি বা ক্রিমি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।আপনি চাইলে পাউডার ব্যবহার করে ফাউন্ডেশন সেট করে নিতে পারেন।এরপর অয়েল ফ্রি কনসিলার লাগিয়ে নিন।সবশেষে একটি অয়েল ফ্রি সেটিং স্প্রে দিয়ে আপনার মেকআপ সেট করে নিন।

অয়েলি স্কিনের ব্রণ কমানোর উপায়

অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন সঠিক নিয়মে মেনে চললে অবশ্যই আপনার ব্রণ বা মুখের ক্ষত কমাতে সাহায্য করবে।আসুন জানি কীভাবে আপনি ঘরে বসেই অয়েলি স্কিনের ব্রণ কমাতে পারেন এবং পেতে পারেন উজ্জ্বল ও পরিষ্কার ত্বক।দিনে অন্তত দুইবার অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে।

এতে অতিরিক্ত সেবাম আর ধুলো-ময়লা দূর হয়।তবে বারবার ধোয়া উচিত না। কারণ এতে স্কিন শুকিয়ে উল্টো আরও বেশি তেল উৎপন্ন করে।ফেসওয়াশের পর টোনার ব্যবহার করা খুেই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অয়েলি স্কিনের জন্য।এটি পোরস টাইট করে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।

অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ত্বক হাইড্রেট রেখে সেবাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ফলে ব্রণের মাত্রা কমতে থাকে।সপ্তাহে একবার অন্তত মৃত কোষ, ধুলো-ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করতে স্ক্রাব করুন।তবে বেশি স্ক্রাব করলে স্কিনের ক্ষতি হতে পারে তাই সতর্ক থাকতে হবে।

মেকআপ কম করার ও ভালোভাবে মুখ ক্লিন করার চেষ্টা করুন।ভেতর থেকে ত্বক ঠিক রাখতে বেশি বেশি পানি খান।ফাস্ট ফুড,অতিরিক্ত চিনি বা দুধ জাতীয় খাবার কম কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। স্বাস্থ্যকর ডায়েট ব্রণ নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভাবে সাহায্য করে।অয়েলি স্কিনের ব্রণ কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল খুব গুরুত্বপূর্ণ।তাই ধৈর্য ধরে রুটিন মেনে চললে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে ব্রণমুক্ত হয়ে উঠবে।

অয়েলি স্ক্রিনের জন্য ৫টি ঘরোয়া টিপস

অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করে ঘরোয়া টিপস ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।চলুন জেনে নিই কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং কোন কোন রুটিন মেনে চলা উচিত।

মুলতানি মাটির মাস্ক-

মুলতানি মাটি খুব ভালো অয়েল শোষণ করে।চলুন মাস্ক বানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানি।২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ১ চামচ গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।এরপর এটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ভালো ফল পেতে অবশ্যই সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

টমেটোর রস-

টমেটোতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট।যা পোরস টাইট করে ও অতিরিক্ত তেল কমাতে সাহায্য করে।১ চামচ টমেটোর রস তুলো দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর নরমাল ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা জেল-

ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল অয়েলি স্কিনে দারুণ কাজ করে।এটি ত্বক ঠান্ডা রাখে ফলে পিম্পল কমাতে এবং তেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে হালকা করে মুখে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন।

টি ট্রি অয়েল-

টি ট্রি অয়েল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে ।২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল সামান্য পানিতে মিশিয়ে তুলো দিয়ে মুখে লাগান। বিশেষ করে পিম্পল এর ওপর।সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

শসার রস-

শসার রস ত্বক ঠান্ডা রাখে ও অয়েল ব্যালান্স করতে সাহায্য করে। শসা কুচি করে রস বের করে মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর নরমাল ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।চাইলে আইস কিউব করে রেখে প্রতিদিন মুখে ঘষতে পারেন।

অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা এবং ঘরোয়া টিপস নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে ফ্রেশ,উজ্জ্বল আর সুন্দর হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।কারণ আমি মনে করি সৌন্দর্যের রহস্য লুকিয়ে থাকে নিয়মিত যত্নে ও ধৈর্যে।

ছেলেদের অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন

ছেলেদের ত্বক মেয়েদের চাইতে বেশি পুরু হরমোন জনিত কারণে।ছেলেদের ত্বক সাধারণত বেশি টানটান এবং ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডসও বেশি হয় স্কিনে তেল বেশি নিঃসরণ হওয়ার কারণে।ফলে তেলতেলে ত্বকের সমস্যা ছেলেদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।তেলতেলে ত্বক অনেক ছেলেদের কাছেই বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সকালে মুখ ধুয়ে বের হতে না হতেই আবার তেল জমতে শুরু করে।এই অতিরিক্ত তেল শুধু মুখের জেল্লা নষ্ট করে না ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও বাড়িয়ে দায়।কিন্তু একটু সচেতন হলেই তেলতেলে ত্বক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।চলুন জানি ছেলেদের তেলতেলে ত্বকের যত্নে কার্যকর কিছু টিপস।

তেলতেলে ত্বকের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এজন্য এমন ফেসওয়াশ বেছে নিন যেটা আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে কিন্তু একদম শুকিয়ে ফেলে না এবং দিনে ২ বারই যথেষ্ট।অতিরিক্ত মুখ ধুলে ত্বক নিজেই আরও বেশি তেল উৎপন্ন করে আর তাতে সমস্যাটা আরোও বাড়ে।স্যালিসিলিক অ্যাসিড ও টি ট্রি অয়েলযুক্ত ফেসওয়াশ দারুণ কাজ করে।

মুখ ধোয়ার পর একটা ভালো টোনার ব্যবহার করুন এটি আপনার রোমছিদ্র ছোট হতে, ত্বক ঠান্ডা রাখতে ও অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।উইচ হ্যাজেল,গ্রীন টি এক্সট্র্যাক্ট বা টি ট্রি অয়েলযুক্ত টোনার খুবই কার্যকর।আপনার ত্বক যদি পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পরিমাণে না পায় তবে নিজে নিজে বেশি তেল তৈরি করতে শুরু করে দায়।তাই হালকা,অয়েল ফ্রি বা জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

এতে আপনার ত্বক সজীব ও প্রাণবন্ত দেখাবে এবং চটচটে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।অনেক ছেলেরাই ভাবে সানস্ক্রিন শুধু মেয়েদের ব্যবহারের জিনিস।কিন্তু রোদে পড়লে ত্বকে যে পরিমান ক্ষতি হয় সেটা ছেলে মেয়ে কাউকেই ছাড়ে না।ত্বকের পিগমেন্টেশন,কালচে দাগ এবং দ্রুত বাধ্যক্য আশা রোধে ম্যাট ফিনিশ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা একান্ত জরুরি।SPF 30 বা তার বেশি সানস্ক্রিন বেছে নিন।

অয়েল ফ্রি হলে আরও ভালো হয়।মুখে যেসব মৃত কোষ, ধুলোবালি আর ব্ল্যাকহেডস হয় এগুলো দূর করার জন্য সপ্তাহে ২-৩দিন হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।এতে ত্বক পরিষ্কার থাকে যা আপনার ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে।তবে বেশি স্ক্রাব করলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই হালকা করে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

আপনি চাইলে রাতে সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন মুলতানি মাটি আর গোলাপ জল দিয়ে মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ঘুমাইতে যেতে পারেন এতে ত্বক ঠান্ডা থাকে ও তেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।টমেটোর রসও কিন্তু রোমছিদ্র টাইট করতে দারুণভাবে কাজ করে।

ত্বকের যত্ন শুধু ভালো জিনিস ব্যবহার করলেই হয় না কিছু ভুল থেকেও দূরে থাকতে হয়।যেমন-মুখে বারবার হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন,অপরিষ্কার তোয়ালে বা বালিশ ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন,অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন,কখনোই অতিরিক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।

এই অভ্যাসগুলো বদলালেই আপনি নিজের ত্বকের পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন আশা করি।ত্বক আমাদের ব্যক্তিত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশবিশেষ।ছেলেরা যেহেতু রোদে এবং ধুলোবালিতে বেশি যায় তাই ছেলেদের ত্বকের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নেয়া উচিত।এই রুটিনটি খুবই সহজ এবং এটি নিয়মিত চালিয়ে গেলে আপনি নিজেই ত্বকে বদল পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।

অয়েলি স্কিনের ক্ষেত্রে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত

অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলার পাশাপাশি অয়েলি স্কিনের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।ত্বক সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সেগুলো মানাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।অয়েলি স্কিনের যত্ন নিতে গিয়ে আমরা অনেকেই কিছু ভুল করে ফেলি যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।তাই সঠিক রুটিনের পাশাপাশি কিছু সতর্কতা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই অয়েলি স্কিনের ক্ষেত্রে কী কী সাবধানতা মানা উচিত।

আরোও পড়ুন:ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা।কার্যকর নিয়ম ও সময়

অতিরিক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ দুইবার মুখ ধোয়া উচিত।অয়েলি স্কিনে হাত দেওয়া মানে ময়লা,ব্যাকটেরিয়া ত্বকে পৌঁছে দেওয়া।যা পিম্পল বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অযথা মুখে ঘনঘন হাত না দেওয়ার চেষ্টা করুন।বাড়ির বাইরে বের হইলে কোনভাবেই সানস্ক্রিন ছাড়া বের হওয়া যাবে না।

অয়েলি স্কিনে অবশ্যই হেভি মেকআপ করা এড়িয়ে চলুন এবং রাতে অবশ্যই ভালোভাবে মেকআপ তুলে ঘুমাতে যাবেন।নিয়মিত সঠিক ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।নিয়মিত বেশি করে পানি,সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।নিয়মিত সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চললে ত্বক আসলেই সুন্দর আর তেলমুক্ত রাখা সম্ভব।

অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন-ঘরোয়া টিপস-শেষ কথা

অয়েলি স্কিন কেয়ার রুটিন এই লেখাটি থেকে আমরা জানলাম নিয়মিত ও সঠিক যত্নই ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং সুস্থ, দাগমুক্ত ত্বক পেতে সাহায্য করতে পারে।শুধু বাহিরের যত্ন না ভেতর থেকে সুস্থ ডায়েট, পর্যাপ্ত পানি পান এবং মানসিক চাপ কমানোও ত্বকের যত্নে অপরিহার্য।

আমি মনে করি ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে দ্রুত ফলাফলের আশা না করে ধৈর্য্য ধরে নিয়মিত সময় নিয়ে সঠিক রুটিনে এবং ঘরোয়া টিপসের মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত।অয়েলি স্কিনের জন্য সঠিক কেয়ার, রুটিন ও ঘরোয়া টিপস মেনে চললে স্বাস্থ্যকর,সুন্দর,উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়া সম্ভব।

এই লেখাটির মাধ্যমে তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক উপায়ে যত্ন নেওয়ার কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছেন।সুতরাং আজ থেকেই নিজের ত্বকের প্রতি ভালোবাসা দেখান সঠিক রুটিন আর ঘরোয়া যত্নের মাধ্যমে।ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url