ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায়
আমাদের আজকের ব্লগে ড্রপ শিপিং বিজনেস কি,ড্রপশিপিং কিভাবে শুরু করব সহ ড্রপশিপিং
ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায় সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করবো।পণ্য মজুদ ছাড়াই
কাস্টমারকে পণ্য সরবরাহ করার এই মডেলটি বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের কাছে
অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এই আর্টিকেলটিতে আমরা ধাপে ধাপে কিভাবে ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করবেন,কীভাবে একটি
লাভজনক নিস নির্বাচন করবেন, কোথায় থেকে প্রোডাক্ট sourcing করবেন, কীভাবে
ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এবং কীভাবে Google ও Facebook মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি
বাড়াবেন তা জানবো।আপনি যদি সত্যিই ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এই
গাইডটি আপনার জন্য।চলুন শুরু করি।
পেজ সূচিপত্র:ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায়
- ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায়
- কেন ২০২৫ সালে ড্রপশিপিং শুরু করা লাভজনক
- ড্রপশিপিং ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
- সঠিক নিস নির্বাচন করার কৌশল
- জনপ্রিয় ড্রপশিপিং প্রোডাক্ট কিভাবে খুঁজবেন
- AliExpress, CJDropshipping এবং Spocket সম্পর্কে ধারণা
- ড্রপশিপিং স্টোর তৈরি করার সেরা প্ল্যাটফর্ম
- পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ করার উপায়
- বিশ্বস্ত সাপ্লায়ার খোঁজার কৌশল
- ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
- অর্ডার Fulfillment ও শিপিং প্রসেস
- ড্রপশিপিং ব্যবসায় কাস্টম ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি পেপার লাগবে
- ড্রপশিপিং ব্যবসায় সর্বনিম্ন মূলধন কত লাগবে
- ড্রপশিপিং ব্যবসার সাধারণ ভুল ও প্রতিকার
- লেখকের মন্তব্য:ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায়
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায়
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায় জানার আগে ড্রপশিপিং ব্যবসা কী
তা জানতে হবে। ড্রপশিপিং হল এমন একটি অনলাইন ব্যবসার মডেল যেখানে আপনি নিজের
কোনো স্টক ছাড়াই পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।এই ব্যবসায় আপনি একজন
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবেন।
কাস্টমার যদি আপনার অনলাইন স্টোর থেকে একটি পণ্য অর্ডার করে আপনি সেই
অর্ডারটি সরাসরি সাপ্লায়ার এর কাছে ফরওয়ার্ড করবেন এরপর সেই সাপ্লায়ার
পণ্যটি সরাসরি কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দেবে।ড্রপশিপিং ব্যবসার সবচেয়ে বড়
সুবিধা হল পণ্য মজুদের দরকার হয় না।প্রথমে বড় অংকের ইনভেস্টমেন্ট লাগে না
এবং আপনি চাইলে ঘরে বসেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যারা অনলাইনে ব্যবসা করতে চান কিন্তু পুঁজি কম তাদের
জন্য ড্রপশিপিং ব্যবসা একটি সেরা বিকল্প।Shopify, WooCommerce, এবং
AliExpress ব্যবহার করে সহজেই একটি সফল ড্রপশিপিং স্টোর তৈরি করা সম্ভব।
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি নির্দিষ্ট লাভজনক নিশ নির্বাচন দিয়ে
শুরু করতে হবে যেখানে প্রতিযোগিতা কম কিন্তু চাহিদা ভালো।এরপর একটি বিশ্বস্ত
সাপ্লায়ার যেমন AliExpress, CJ Dropshipping, অন্যান্য গ্লোবাল সাপ্লায়ারের
সাথে চুক্তি করতে হবে যারা আপনার অর্ডার অনুযায়ী পণ্য সরাসরি ক্রেতার কাছে
পাঠাবে।
এরপর Shopify, WooCommerce, Ecwid এর মতো প্ল্যাটফর্মে একটি প্রফেশনাল
ওয়েবসাইট তৈরি করে পণ্য লিস্ট করতে হবে এবং SEO ফ্রেন্ডলি টাইটেল ও
ডিসক্রিপশন যোগ করতে হবে।পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে SSLCommerz, Stripe যুক্ত
করে ক্রেতার জন্য সহজ পেমেন্ট অপশন রাখতে হবে।তারপর Facebook, Instagram,
TikTokএর মাধ্যমে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন চালিয়ে কাস্টমার আনতে হবে।
অর্ডার আসলে তা সাপ্লায়ারকে ফরোয়ার্ড করে কাস্টমারকে ট্র্যাকিং আপডেট দিতে
হবে।কাস্টমার সাপোর্ট ভালোভাবে দিতে হবে যাতে ব্র্যান্ডের প্রতি বিশ্বস্ততা
গড়ে ওঠে।শেষে ডেটা অ্যানালাইসিস করে কোন প্রোডাক্ট ভালো চলছে তা দেখে
ব্যবসাকে ধাপে ধাপে বড় করার চেষ্টা করতে হবে।এভাবে কম বিনিয়োগে
ঝুঁকিমুক্তভাবে একটি লাভজনক ড্রপশিপিং ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব।
কেন ২০২৫ সালে ড্রপশিপিং শুরু করা লাভজনক
২০২৫ সাল ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার এক আদর্শ সময়।কারণ এখন বিশ্বব্যাপী
অনলাইন শপিংয়ের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে এবং ক্রেতারা ঘরে বসেই পণ্য কেনার
দিকে ঝুঁকছেন।এতে করে ড্রপশিপিং ব্যবসার সুযোগও আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে
গেছে।
ড্রপশিপিং ব্যবসায় পণ্য মজুদের প্রয়োজন নেই তাই বিনিয়োগ কম লাগে।মোবাইল ও
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছে।Facebook, TikTok,
YouTube মার্কেটিং আরও সহজ হচ্ছে।Shopify, Wix, WooCommerceএর মতো
প্ল্যাটফর্ম এখন আরও ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠছে।ChatGPT ও AI টুল ব্যবহারে
প্রোডাক্ট রিসার্চ ও মার্কেটিং অনেক সহজও হয়েছে।
আপনি যদি ২০২৫ সালে অনলাইনে নতুন কিছু করতে চান তাহলে ড্রপশিপিং ব্যবসা আপনার
জন্য একটি সময়োপযোগী এবং লাভজনক সিদ্ধান্ত হতে পারে।তাই এখনই সঠিক পরিকল্পনা
করে শুরু করলেই আগামীতে বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
ড্রপশিপিং ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করা যেমন সহজ তেমনি সফল হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ
দক্ষতা থাকা জরুরি।কারণ আপনি নিজেই এই ব্যবসার মূল চালক আপনাকেই সাইট তৈরি,
মার্কেটিং, কাস্টমার সার্ভিস সব সামলাতে হবে।তাই দক্ষতাগুলোর উপর ফোকাস করলে
আপনি দ্রুত সফল হতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জ্ঞান যেমন-Facebook Ads, Google Ads, TikTok Marketing
সর্ম্পকে জানতে হবে।কারণ কাস্টমার আনতে অনলাইন মার্কেটিং ছাড়া উপায়
নেই।Googleএ র্যাংক করতে হলে SEO জানতে হবে।প্রোডাক্ট ডিসক্রিপশন, ব্লগ
পোস্ট ও টাইটেল অপ্টিমাইজ করতে জানতে হবে।
Shopify, WooCommerce,Wixএর মতো প্ল্যাটফর্মে সাইট বানানো, থিম কাস্টোমাইজ
করা, পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ ইত্যাদি করতে জানতে হবে।কাস্টমার সার্ভিস ও
কমিউনিকেশন স্কিল যেমন-কাস্টমারের প্রশ্ন, অভিযোগ, রিটার্ন নিয়ে দ্রুত সাড়া
দিতে হবে।কারণ ভালো সার্ভিস দিলে ভালো রিভিউ পাওয়া যাবে।
কোন প্রোডাক্টে চাহিদা বেশি, কোন সাপ্লায়ার নির্ভরযোগ্য সেগুলো বুঝে
সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা রাখতে হবে।প্রোডাক্ট ছবি, Instagram Reel, Facebook
Ad ভিডিও, পোস্ট লেখার স্কিল থাকলে বিক্রি অনেক গুণ বাড়ে।এই দক্ষতাগুলো আপনার
না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই।বর্তমানে অনেক ফ্রি/পেইড কোর্স, YouTube ভিডিও ও
ব্লগ থেকে আপনি সহজেই এই স্কিলগুলো শিখতে পারেন।
সঠিক নিস নির্বাচন করার কৌশল
ড্রপশিপিং ব্যবসায় সফলতার অন্যতম মূল চাবিকাঠি হলো সঠিক Niche নির্বাচন।আপনি
যদি এমন একটি নিস বেছে নেন যেখানে প্রতিযোগিতা কম কিন্তু চাহিদা বেশি তাহলে
খুব সহজেই আপনি র্যাংক করতে পারবেন এবং বিক্রি বাড়াতে পারবেন।Google Trends
ব্যবহার করে কোন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে বা কমছে তা দেখুন।
Facebook ও TikTok ট্রেন্ড অনুযায়ী কোন পণ্যগুলো বেশি শেয়ার, রিভিউ
হচ্ছে তা অনুসন্ধান করুন ।AliExpress, Amazon Best Sellers চেক করতে
পারেন।যেটা নিয়ে মানুষ উৎসাহী,যেটা কোনো সমস্যার সমাধান করে,যেটা থেকে আপনি
লাভ করতে পারবেন তা খুজে বের করুন।বেশি saturated নিস এড়িয়ে চলুন।লোকজন কী
কী সার্চ করছে সেটা নিয়ে রির্সাস করুন।
কিছু জনপ্রিয় লাভজনক নিস আইডিয়া
- হেলথ ও ফিটনেস
- পোষা প্রাণীর পণ্য
- হোম ডেকর
- স্কিন কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্ট
- মা ও শিশু সম্পর্কিত পণ্য
- ট্র্যাভেল অ্যাকসেসরিজ
- অফিস ও স্টাডি গ্যাজেট
সঠিক নিস বেছে নিলে আপনার মার্কেটিং খরচ কমবে সাথে টার্গেট অডিয়েন্সকে সহজে
পৌঁছাতে পারবেন এবং conversion হারও অনেক বেশি হয়।ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু
করার সেরা উপায় হলো সঠিক নিস নির্বাচন, বিশ্বস্ত সাপ্লায়ারের সঙ্গে চুক্তি
করা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে পণ্য প্রচার করা।
জনপ্রিয় ড্রপশিপিং প্রোডাক্ট কিভাবে খুঁজবেন
সফল ড্রপশিপিং ব্যবসার অন্যতম ভিত্তি হল জনপ্রিয় ও চাহিদাসম্পন্ন পণ্য
নির্বাচন।কারণ আপনি যদি এমন পণ্য বেছে নেন যার চাহিদা নেই, প্রতিযোগিতা
অত্যাধিক বেশি তাহলে আপনার বিক্রি ঠিকমতো নাও হতে পারে।তাই ড্রপশিপিংয়ে
লাভজনক হতে হলে কিভাবে ট্রেন্ডি ও বিক্রিযোগ্য পণ্য খুঁজে বের করতে হয় তা
জানতে হবে।
জনপ্রিয় প্রোডাক্ট খুঁজে বের করার কার্যকর পদ্ধতি সর্ম্পকে জানি
আসুন।AliExpress Best Sellers এ ঘাটুন।AliExpress এ Orders অনুযায়ী ফিল্টার
করে কোন কোন পণ্যে হাজার হাজার অর্ডার হয়েছে দেখুন।পণ্যের রিভিউ ও রেটিংও
যাচাই করুন।
আপনি যে পণ্যে কাজ করতে চান তা Google Trends এ সার্চ করে দেখুন চাহিদা
বাড়ছে না কমছে।এটা আপনাকে ভবিষ্যৎ মার্কেট প্রেডিক্ট করতে সাহায্য
করে।প্রতিযোগীরা কী ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাড দিচ্ছে তা Facebook Ad
Libraryতে খুঁজে দেখতে পারেন।
ভালো রেসপন্স পাওয়া পণ্যগুলোতে লক্ষ্য করুন।ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা
উপায় হলো এমন পণ্য বেছে নেওয়া যেগুলোর বাজারে চাহিদা আছে কিন্তু
প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে কম।ভিডিও প্ল্যাটফর্মে যেমন-TikTok অথবা
#trendingproducts হ্যাশট্যাগ ফলো করে নতুন ট্রেন্ডি প্রোডাক্ট সম্পর্কে
জানুন।
Amazonএর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে Best Seller লিস্ট দেখলে জনপ্রিয় পণ্যের ধারণা
পাওয়া যায়।eBayতেও একইভাবে কাজ করে।আবার আপনি Dropshipping Tool ও ব্যবহার
করতে পারেন।Sell The Trend, Niche Scraper, Ecomhunt এই টুলগুলো ট্রেন্ডিং
প্রোডাক্ট, নিস আইডিয়া এবং কনভার্সন রেট বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
প্রোডাক্ট বাছাই করার সময় সমস্যা সমাধান করে এমন পণ্য,ভিডিওতে সহজে দেখানো
যায় এমন পণ্য ও লাভের মার্জিন বেশি এমন প্রোডাক্ট বাছাই করার চেষ্টা
করুন।
AliExpress, CJDropshipping এবং Spocket সম্পর্কে ধারণা
একজন ড্রপশিপিং উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর
একটি হল সঠিক সাপ্লায়ার প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা।বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয়
তিনটি ড্রপশিপিং সাপ্লাই চ্যানেল হল AliExpress, CJDropshipping ও Spocket।
প্রতিটিই নির্দিষ্ট সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করে।
AliExpress হল চীনের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে লক্ষ লক্ষ পণ্য
পাওয়া যায় খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে।হাজার হাজার সাপ্লায়ার থেকে প্রোডাক্ট
সিলেক্ট করার সুবিধাও রয়েছে।Minimum Order Quantity এর ও সুবিধাও রয়েছে।
এছাড়া সহজেই Shopify, WooCommerce এর সাথে ইন্টিগ্রেশন পাওয়াও
সম্ভব।সাধারণত শিপিং টাইম ১৫-৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য পাওয়া যায়।নতুন
ড্রপশিপারদের জন্য যারা কম দামে ট্রেন্ডি পণ্য খুঁজছেন তাদের
জন্য উপযুক্ত।নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা
উপায় Shopify, WooCommerce এর মাধ্যমে সহজে ইকমার্স স্টোর তৈরি করা।
CJDropshipping একটি বিশেষ ধরনের ড্রপশিপিং সার্ভিস যা প্রোডাক্ট সাপ্লাই,
প্যাকেজিং এবং শিপিং সবকিছু একসাথে করে থাকে।এটি US ও EU ভিত্তিক গুদাম ফলে
দ্রুত ডেলিভারি পাওয়া যায়।আপনি চাইলে যেকোনো প্রোডাক্টের সোর্স চেয়েও নিতে
পারবেন।যারা একটু বেশি প্রফেশনাল লেভেলে ব্যবসা করতে চান এবং দ্রুত ডেলিভারি
চান তাদের জন্য।
আরো পড়ুন:গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
Spocket মূলত USA ও Europeভিত্তিক সাপ্লায়ারদের প্ল্যাটফর্ম।এর মাধ্যমে আপনি
স্থানীয়ভাবে দ্রুত শিপিংসহ পণ্য পাঠাতে পারবেন।Spocket তে প্রোডাক্ট
quality High,Premium সাপ্লায়ার এবং কম্পিটিটিভ প্রাইসিং,Shopify ও
WooCommerce সাপোর্ট এর ব্যবস্থা রয়েছে।যারা USA/Europe মার্কেট টার্গেট
করছেন এবং দ্রুত শিপিং ও ব্র্যান্ড ভ্যালু চান তাদের জন্য।
ড্রপশিপিং স্টোর তৈরি করার সেরা প্ল্যাটফর্ম
একটি সফল ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনার প্রয়োজন একটি পেশাদার
এবং ইউজারফ্রেন্ডলি অনলাইন স্টোর তৈরি করা।বর্তমানে বেশ কিছু বিশ্বমানের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই নিজের একটি
ড্রপশিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন কোনো কোডিং দক্ষতা ছাড়াই।
সেরা ড্রপশিপিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে Shopify হলো ড্রপশিপিংয়ের জন্য
সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যবহারবান্ধব প্ল্যাটফর্ম।এটিতে সহজ ড্র্যাগ অ্যান্ড
ড্রপ বিল্ডার, Oberlo, DSers, Spocketএর মতো ড্রপশিপিং অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন
ব্যবস্থা, সহজে পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ,ফাস্ট লোডিং এবং রেসপনসিভ ডিজাইন করা
সম্ভব।নতুন ও অভিজ্ঞ উভয় উদ্যোক্তারাই দ্রুত একটি প্রফেশনাল স্টোর করতে
পারবেন।
WooCommerce হলো WordPress ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে ফ্লেক্সিবল ই-কমার্স
সলিউশন।এর বৈশিষ্ট্য হলো সম্পূর্ণ কাস্টমাইজযোগ্য,প্রচুর ফ্রি ও পেইড
থিম,AliDropship, Spocket, ও Printful এর মতো প্লাগইন সাপোর্টও রয়েছে।নিজে
হোস্টিং ব্যবহারের সুবিধাও রয়েছে।
Wix eCommerceহলো আরেকটি সহজ ও ভিজ্যুয়াল বিল্ডার ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যা
নতুনদের জন্য খুব উপযোগী।এতে প্রোডাক্ট ড্র্যাগ করে যোগ করা যায়,
ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং টুলস রয়েছে, Modalyst, Spocket ড্রপশিপিং অ্যাপ
সাপোর্ট করে।
পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ করার উপায়
ড্রপশিপিং স্টোর থেকে অর্ডার আসলে কাস্টমারদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করার জন্য
পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ করাটা অত্যন্ত জরুরি।এটি আপনার ওয়েবসাইটকে ব্যাংক ও
কাস্টমারের মাঝে একটি নিরাপদ ব্রিজ হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে।
পেমেন্ট গেটওয়ে হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা আপনার স্টোরে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড,
মোবাইল ব্যাংকিং, ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করার সুবিধা দেয়।এর
মাধ্যমে লেনদেন নিরাপদ এবং দ্রুত হয়।আপনার ওয়েবসাইট যদি Shopify, WooCommerce
অথবা Wix এ তৈরি হয় তাহলে সহজেই আপনি বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে ইন্টিগ্রেশন করতে
পারবেন।
আন্তর্জাতিক মার্কেটের জন্য Stripe, PayPal, 2Checkout, Wise ও বাংলাদেশের
লোকাল মার্কেটের জন্যSSLCOMMERZ,Bkash API ওয়েব ইনটিগ্রেশন ব্যবহার হয়ে
থাকে।প্রতিটি পেমেন্ট গেটওয়ের নিজস্ব সাইনআপ এবং ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া থাকে।
যার জন্য সাধারণত আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যবসার নাম ও ডোমেইন, ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস,কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স সব
ক্ষেত্রেবাধ্যতামূলক না প্রয়োজন পরবে।
Shopify আপনার স্টোরে ইন্টিগ্রেশন করতে Dashboard-Settings- Payments-Add
Payment Provider তারপর Stripe ,PayPal যুক্ত করতে হবে।
WooCommerce এর জন্য Plugins-Add New-WooCommerce Stripe Payment
Gateway অথবা SSLCOMMERZ Install ও Configure করতে হবে।
আপনার স্টোরে Wix ইন্টিগ্রেশন করতে Settings-Accept Payments-Choose
Provider-Connect Account.সফলভাবে ইনটিগ্রেশন হয়ে গেলে প্রথমে Test Modeচালু
করে চেক করুন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তারপর Live Mode চালু করুন।
বিশ্বস্ত সাপ্লায়ার খোঁজার কৌশল
ড্রপশিপিং ব্যবসার সফলতার জন্য একজন বিশ্বস্ত সাপ্লায়ার নির্বাচন করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।কারণ আপনি পণ্য নিজে হাতে ধরছেন না আপনার কাস্টমার সার্ভিস,
ডেলিভারি টাইম এবং পণ্যের মান পুরোটাই নির্ভর করে সাপ্লায়ারের উপর।সুতরাং ভুল
সাপ্লায়ার মানেই রিফান্ড, কাস্টমারের ক্ষোভ ও রেটিং খারাপ হওয়ার চান্স অনেক।
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায় হচ্ছে বিশ্বস্ত সাপ্লায়ার নির্বাচন করা
এবং দ্রুত শিপমেন্ট নিশ্চিত করা।এজন্য AliExpress এর Top Rated Seller এ গিয়ে
Feedback Score ও Positive Ratings দেখুন।পণ্যের অর্ডার সংখ্যা ১০০+ হলে সেটি
জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য ধরা যায়।Top Brand ট্যাগ থাকলে সেটি পছন্দ করুন।
প্রয়োজনে Spocket ও CJDropshipping ব্যবহার করুন।এই দুটি প্ল্যাটফর্মে মূলত
ভেরিফায়েড সাপ্লায়ার থাকে।আবার আপনি সরাসরি ইউরোপ, ইউএস ভিত্তিক সাপ্লায়ার
খুঁজে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।সাপ্লায়ারের সাথে চ্যাটে অথবা ইমেইলে সরাসরি
যোগাযোগ করে শিপিং টাইম, রিটার্ন পলিসি, ইনভেন্টরি আপডেট বিষয়গুলো জিজ্ঞেস করে
বিশ্বাস যোগ্য মনে হলে তার সাথে কাজ করতে পারেন।
যেকোনো নতুন সাপ্লায়ারকে বেছে নেওয়ার আগে নিজের ঠিকানায় একটি টেস্ট অর্ডার
দিয়ে দেখতে পারেন।এতে আপনি পণ্যের মান কেমন, কত দিনে পৌঁছায়, প্যাকেজিং ঠিক
আছে কি না এসব তথ্য জানতে পারবেন।আবার অনেক ড্রপশিপার তাদের অভিজ্ঞতা ফেসবুক
গ্রুপেও শেয়ার করে।সেখানে কোন সাপ্লায়ার ভালো বা খারাপ তা জানা যায়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
ড্রপশিপিং ব্যবসায় সফলতা অর্জনের জন্য পেশাদার ও সহজে ব্যবহার করা যায় এমন
ওয়েবসাইট ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ আপনার ওয়েবসাইটই হলো আপনার অনলাইন
দোকান।যদি একজন ভিজিটর ওয়েবসাইটে এসে বিভ্রান্ত হন অথবা ধীরগতির কারণে বিরক্ত
হন তাহলে তিনি সরাসরি আপনার সাইট ছেড়ে চলে যাবেন।
আজকের দিনে ৮০% এর বেশি ভিজিটর মোবাইল থেকে সাইট ব্রাউজ করেন।তাই আপনার সাইট
responsive হতে হবে এবং সব ডিভাইসে ভালোভাবে কাজ করতে হবে।একটি গুছানো,
সহজবোধ্য ডিজাইন ইউজারকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।অনেক বেশি রঙ, এনিমেশন ব্যবহার
না করে সিম্পল, এলিগ্যান্ট লুক মানুষ বেশি পছন্দ করে।
সাইট লোড হতে যদি ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে তবে ৫০% এর বেশি ইউজার চলে
যায়। তাই ছবিগুলো WebP ফরম্যাটে কমপ্রেস করুন এবং Lite থিম ব্যবহার
করুন।মেনু, ক্যাটেগরি, সার্চ বক্স সবকিছু যেন স্পষ্ট ও সহজলভ্য হয় সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে।যাতে একজন নতুন ভিজিটর খুব দ্রুত তার কাঙ্ক্ষিত পণ্য খুঁজে
পেতে পারেন।
Buy Now, Add to Cart, Order Nowএই ধরনের বোতামগুলো আকর্ষণীয় রঙ ব্যবহার করে
স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান রাখুন।আপনার প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট পেজে থাকা উচিত এবং
হাই-রেজোলিউশন ইমেজ, বিস্তারিত বিবরণ, দাম ও ডিসকাউন্ট, রিভিউ এবং রেটিং,
Estimated delivery time সবকিছু যুক্ত করুন।
ক্রেতার বিশ্বাস যোগ্য করার জন্য প্রয়োজনে SSL সার্টিফিকেট Trust Signals,
রিয়েল কাস্টমার রিভিউ, Return policy, Privacy policy, Contact page ও
নিরাপদ পেমেন্ট ব্যাজ যোগ করুন।
অর্ডার Fulfillment ও শিপিং প্রসেস
ড্রপশিপিং ব্যবসার প্রাণ হচ্ছে অর্ডার Fulfillment ও শিপিং প্রসেস।গ্রাহক
ওয়েবসাইটে পণ্য অর্ডার করার পর সেই অর্ডারটি সরাসরি সাপ্লায়ারের কাছে চলে যায়
এবং সাপ্লায়ার সেই পণ্য ক্রেতার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। এই পুরো প্রক্রিয়া যতটা
নিখুঁত ও দ্রুত হবে কাস্টমারের সন্তুষ্টি ততটাই বেশি হবে।
অর্ডার Fulfillment কীভাবে কাজ করে চলুন তা জানি।প্রথমে ক্রেতা আপনার
ওয়েবসাইটে অর্ডার করে।অর্ডার অটোমেটিকভাবে Shopify, Oberlo, DSers বা Spocket
এর মাধ্যমে সাপ্লায়ারের কাছে চলে যায়।সাপ্লায়ার পণ্য প্যাক করে শিপ করে দেয়
ক্রেতার ঠিকানায়।আপনি ও কাস্টমার উভয়েই ট্র্যাকিং নম্বর পাবেন।কাস্টমার পণ্য
গ্রহণ করে এবং ফিডব্যাক দেয়।
শিপিং প্রসেসে সময় ওয়েবসাইটে ডেলিভারি টাইম উল্লেখ করতে ভুলবেন না।অনেক
কাস্টমার ফ্রি শিপিং পছন্দ করেন তাই পণ্যের দামে শিপিং চার্জ যুক্ত করে ফ্রি
শিপিং অফার করলে বিক্রি বাড়ে।দ্রুত শিপিং পদ্ধতি থাকলে কাস্টমারের সন্তুষ্টি
ও রিভিউ ভালো হয়।আপনার পেজে শিপিং পলিসি কতদিনে পণ্য ডেলিভারি হবে, কোন কোন
দেশে শিপ করবেন, শিপিং চার্জ কত এসব লিখে রাখতে পারেন।
ড্রপশিপিং ব্যবসায় কাস্টম ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি পেপার লাগবে
ড্রপশিপিং ব্যবসায় সাধারণভাবে পণ্য সরাসরি বিদেশি সাপ্লায়ার থেকে ক্রেতার
কাছে পাঠানো হয় তাই অধিকাংশ সময়ই আমদানিকারকের মতো পূর্ণাঙ্গ কাস্টম
ক্লিয়ারেন্স করার প্রয়োজন হয় না।তবে আপনি যদি স্টক করে দেশে রাখার জন্য পণ্য
আনতে চান তাহলে কাস্টম ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক হয়ে পড়বে।
এই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে।আসুন
জানি।
- কমার্শিয়াল ইনভয়েস
- প্যাকিং লিস্ট
- এয়ারওয়ে বিল বা কুরিয়ার রিসিভিং ডকুমেন্ট
- পণ্যের HS কোড
- আমদানি রেজিস্ট্রেশন সনদ অর্থ্যৎ IRC
- TIN ও VAT সনদ
- পেমেন্ট লেনদেনের প্রমাণপত্র
আপনার পণ্য যদি ইলেকট্রনিক অথবা রেগুলেটেড হয় তাহলে প্রোডাক্ট কমপ্লায়েন্স
সার্টিফিকেটও লাগতে পারে।কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সহজ করতে চাইলে পেশাদার C&F
এজেন্ট বা কুরিয়ার কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করাই ভালো।ফলে ঝামেলা কম হয় এবং
পণ্য সময়মতো ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।তাই ড্রপশিপিং ব্যবসায় সফল
হতে চাইলে কাস্টমস নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি।
ড্রপশিপিং ব্যবসায় সর্বনিম্ন মূলধন কত লাগবে
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে তুলনামূলকভাবে খুব কম মূলধন প্রয়োজন হয় কারণ এই
মডেলে আপনাকে নিজের পণ্য মজুদ করতে হয় না বা অগ্রিম ইনভেস্ট করতে হয় না।তবে
একটি সফল অনলাইন ড্রপশিপিং স্টোর পরিচালনার জন্য কিছু প্রাথমিক খরচ থাকে
যেমন-ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে ২,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা, ওয়েবসাইট তৈরি অথবা
Shopify প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে
পারে।
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইড বিজ্ঞাপনের জন্য অন্তত ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা
বাজেট রাখা ভালো।সব মিলিয়ে একজন নতুন উদ্যোক্তা যদি নিজেই ওয়েবসাইট ও ডিজাইন
করতে পারেন তাহলে প্রায় ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যেই ড্রপশিপিং ব্যবসা
শুরু করা সম্ভব।তবে পেশাদার লুক, মার্কেটিং ও স্কেলিংয়ের জন্য ২০,০০০ থেকে
২৫,০০০ টাকার একটি ছোট মূলধন আরো ভালো ফলাফল দিতে পারে।এটি এমন একটি ব্যবসা
যেখানে কম খরচে ঝুঁকিমুক্তভাবে অনলাইন ইনকাম শুরু করা সম্ভব।
ড্রপশিপিং ব্যবসার সাধারণ ভুল ও প্রতিকার
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করা তুলনামূলক সহজ হলেও সফলতা পেতে গেলে কিছু সাধারণ ভুল
এড়িয়ে চলা জরুরি।এই ভুলগুলো করলে ব্যবসা ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে তাই সঠিক
পরিকল্পনা ও সতর্কতা নেয়া দরকার।
প্রথমত অনেকেই সঠিক নিস নির্বাচন করতে ব্যর্থ হন।চাহিদাহীন, অত্যধিক
প্রতিযোগিতাপূর্ণ পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করলে লাভের সুযোগ কমে যায়।এজন্য অবশ্যই
ভালো মার্কেট রিসার্চ করে ট্রেন্ডি এবং লাভজনক নিস বেছে নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত সস্তা সাপ্লায়ারের পিছনে দৌড়ানো একটি বড় ভুল।কম গুণগতমানের পণ্য এবং
দেরিতে ডেলিভারি গ্রাহকের অসন্তুষ্টি তৈরি করে যা আপনার ব্যবসার রেপুটেশন নষ্ট
করতে পারে।তাই বিশ্বস্ত ও রিভিউ ভালো সাপ্লায়ার বেছে নেওয়া উচিত।প্রয়োজনে
নমুনা অর্ডার দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে।
তৃতীয়ত অনেক সময় কাস্টমার সার্ভিসে অবহেলা হয়।দেরিতে উত্তর দেওয়া বা অভিযোগ
এড়িয়ে যাওয়া কাস্টমারের আস্থা কমায় এবং ব্যবসার ক্ষতিও করে।দ্রুত এবং পেশাদার
মনোভাব নিয়ে কাস্টমারের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া জরুরি।
পেমেন্ট গেটওয়ে সঠিকভাবে সেটআপ না করাও বড় সমস্যা হতে পারে কারণ এটি ক্রেতার
পেমেন্ট প্রক্রিয়া জটিল করে তোলতে পারে।তাই বিভিন্ন জনপ্রিয় পেমেন্ট অপশন
যুক্ত করা উচিত।এছাড়া অর্ডার Fulfillment ও শিপিংয়ে দেরি করাও গ্রাহকের
অসন্তুষ্টির কারণ হয়।অর্ডার সময়মতো না পাঠানো, ট্র্যাকিং নম্বর না দেওয়া সবই
ব্যবসার ক্ষতি করে।
এই সমস্যা এড়াতে অটোমেটেড টুল ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।SEO এবং মার্কেটিংয়ের
প্রতি অবহেলা ড্রপশিপিং ব্যবসার বাধাগ্রস্ত করতে পারে।তাই নিয়মিত SEOফ্রেন্ডলি
কনটেন্ট আপডেট ও বিজ্ঞাপন চালিয়ে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে হবে।এই
সাধারণ ভুলগুলো থেকে সতর্ক থাকলে এবং সঠিক পদক্ষেপ নিলে আপনার ড্রপশিপিং
ব্যবসায় সফলতা আসতে সাহায্য করবে।
লেখকের মন্তব্য:ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায়
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সেরা উপায় জানতে হলে আপনাকে প্রথমে মার্কেট
রিসার্চ করতে হবে এবং ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে পণ্য নির্বাচন করতে হবে।ড্রপশিপিং
ব্যবসা ২০২৫ সালে যারা অনলাইনে স্বাধীনভাবে আয় করতে চান তাদের জন্য এক অনন্য
সুযোগ।
তবে সফল হতে হলে শুধু একটি স্টোর তৈরি করলেই হবে না সঠিক নিস নির্বাচন,
বিশ্বস্ত সাপ্লায়ার বাছাই, ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট, SEO-ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট
এবং গ্রাহকসেবায় মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য।নতুনদের উচিত ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করা
এবং ছোট পরিসর থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে স্কেল বাড়ানো।
প্রযুক্তি এবং সঠিক টুল ব্যবহারের মাধ্যমে যেকোনো উদ্যোক্তা আজকের দিনে ঘরে
বসেই একটি লাভজনক ড্রপশিপিং ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন।সময়মতো শেখা, পরীক্ষা
করা এবং কাস্টমারের অভিজ্ঞতার প্রতি গুরুত্ব দেওয়াই সফলতার মূল চাবিকাঠি।ভালো
থাকবেন।ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url