বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে
বিদেশি পন্য নিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি
কি কাগজ পএ লাগে,বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম,আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করতে কত
টাকা লাগে,আমদানি রপ্তানি ব্যবসার নিয়ম,বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে কোন
পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সঠিক তথ্য সম্পর্কে না জানলে আপনার ব্যবসা লাভজনক
নাও হতে পারে। বৈধ এবং নির্বিঘ্ন আমদানি কার্যক্রম করতে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র
ও সরকারি অনুমোদন অপরিহার্য। এই লেখায় আমরা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি
কাগজপত্র লাগে এবং সেগুলো সংগ্রহ ও ব্যবহারের প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত
জানবো।চলুন শুরু করি।
পেজসূচি পত্র:বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে
- আমদানিকারক হওয়ার শর্তাবলী
- বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে
- আমদানি নিবন্ধন গ্রহণের ধাপসমূহ
- ব্যবসায়িক লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
- টিন সার্টিফিকেট সংগ্রহের নিয়ম
- Letter of Credit করার নিয়ম
- বিল অব লেডিং
- কাস্টমস ডিক্লারেশন করার নিয়ম
- লেখকের শেষ মন্তব্য:বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে
আমদানিকারক হওয়ার শর্তাবলী
বৈধভাবে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মেনে
আমদানিকারকের নিবন্ধন করতে হয়। চলুন একজন বৈধ আমদানিকারক হওয়ার শর্তগুলো জেনে
নেওয়া যাক।
- আমদানিকারক হওয়ার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি বৈধ পরিচয়পত্র। এটি হতে পারে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বৈধ পাসপোর্ট।
- আপনার ব্যবসার আইনগত স্বীকৃতির জন্য সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।ট্রেড লাইসেন্স অবশ্যই "আমদানি ও রপ্তানি" ইস্যু করা থাকতে হবে।
- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড NBR থেকে আপনার কর শনাক্তকরণ নম্বর অর্থাৎ TIN সংগ্রহ করতে হবে।এটি আপনাকে করদাতা হিসেবে নিশ্চিত করবে।
- আমদানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আপনার নামে একটি কারেন্ট ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।এই একাউন্ট থেকেই এলসি LC খোলা হয়ে থাকে।
- Business Identification Number অর্থাৎ ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন একটি অপরিহার্য শর্ত। আমদানির সময় ভ্যাট কর্তন, পরিশোধের সময় কাজে লাগে।
- বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স,সংশ্লিষ্ট পণ্যের ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য হতে হবে।
- আমদানি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী আপনাকে প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের CCI&E কার্যালয় থেকে Importer Registration Certificate (IRC) সংগ্রহ করতে হবে। কারণ এটি ছাড়া আপনি এলসি খোলার অনুমতি পাবেন না।
- আপনি আমদানি করতে আর্থিকভাবে প্রস্তুত তার প্রমাণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সলভেন্সি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
- ইলেকট্রনিক কর রিটার্ন দাখিলের অনুমতির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত e-TIN নম্বর থাকতে হবে।
- নির্দিষ্ট কিছু পণ্য যেমন মোবাইল, ওষুধ, খাদ্য, কৃষিপণ্য ইত্যাদি আমদানির জন্য BSTI, BTRC, Plant Quarantine, DGDA ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গুলোথেকে অতিরিক্ত অনুমোদন নিতে হতে পারে।
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে হলে বাংলাদেশে কিছু নির্দিষ্ট আইনি ও ব্যাংকিং
কাগজপত্র প্রয়োজন হয় যা কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স থেকে শুরু করে ব্যাংকিং ও
পেমেন্ট কার্যক্রমে দরকার হয়।চলুন বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় সব
কাগজপত্র তালিকা দেখা যাক।
- ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
- বৈধ ট্রেড লাইসেন্স
- Tax Identification Number
- Business Identification Number
- Current ব্যাংক একাউন্ট
- প্রোফর্মা ইনভয়েস
- LC
- Insurance Cover Note
- Bill of Lading
- কমার্শিয়াল ইনভয়েস
- প্যাকিং লিস্ট
- Certificate of Origin
- Bill of Entry
- Bank Forwarding Letter & IMP Form
- ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
- বৈধ ট্রেড লাইসেন্স
- Tax Identification Number
- Business Identification Number
- Current ব্যাংক একাউন্ট
- প্রোফর্মা ইনভয়েস
- LC
- Insurance Cover Note
- Bill of Lading
- কমার্শিয়াল ইনভয়েস
- প্যাকিং লিস্ট
- Certificate of Origin
- Bill of Entry
- Bank Forwarding Letter & IMP Form
আমদানি নিবন্ধন গ্রহণের ধাপসমূহ
আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো যেমন ট্রেড লাইসেন্স, TIN,
VAT, ব্যাংক সলভেন্সি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চেম্বার মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট,
জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি কাগজ পএ গুলো প্রস্তুত করুন।
এরপর এই ওয়েবসাইটে Import Registration
Certificate এর সকল তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে এবং কাগজপত্রগুলো পিডিএফ আকারে
এটাষ্ট ফাইলে আবেদন সাবমিট করতে হবে।আর যদি রপ্তানি লাইসেন্স ERC নিতে চান
তাহলে ERC Application Form পূরণ করতে হবে।
সব তথ্য ও কাগজপত্র সাবমিট করার পর Payment অপশনে অনলাইন ব্যাংকিং,মোবাইল
ব্যাংকিং ফি জমা দেওয়ার পর আপনার পেমেন্ট কনফার্মেশন হয়ে গেলে একটি অনলাইন রশিদ
ডাউনলোড করতে পারবেন।IRC/ERC সনদপত্র অনলাইনে PDF আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন।এই
সনদ ব্যবহার করে আপনি বৈধভাবে আমদানি, রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।
আমদানির ফি
ব্যবসায়ি লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
প্রথমে আপনাকে লোকাল সরকারী অফিস সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ,ইউনিয়ন থেকে ট্রেড
লাইসেন্সের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে ।ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণের জন্য সর্বপ্রথম
সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন,পৌরসভা,ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে ৫০ টাকা ফি প্রদান করে
আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
এরপর ফরমটি প্রাসঙ্গিক তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।ফরম পূরণ ও প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিতে হবে।ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী লাইসেন্স ফি
জমা দিতে হবে।ডকুমেন্ট যাচাই ও ফি প্রদান হয়ে গেলে প্রায় ৩-৭ কার্যদিবসের মধ্যে
ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয়ে থাকে।
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে এটা জানলে কি কি অনুমতিপত্র প্রয়োজন হয় সেটাও জানতে পারবেন।আপনি চাইলে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সে এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।অনলাইনে আবেদন
করতে এখানে ক্লিক করুন।
টিন সার্টিফিকেট সংগ্রহের নিয়ম
E-TIN Certificate হলো বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আয়কর ইনকাম
ট্যাক্স বিষয়ক একটি ডিজিটাল সনদ। এটি একজন ব্যক্তি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের
জন্য করদাতা হিসেবে সনাক্ত করা হয়ে থাকে।
অনলাইনে ই-টিন সার্টিফিকেট পেতে প্রথমেই
এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং Register বাটনে ক্লিক করুন।
রেজিস্ট্রেশন ফরম সাবমিট করা হলে আপনার মোবাইলে একটিভেশন কোড আসবে। এই কোডটি
কপি করে ওয়েবসাইটে নির্ধারিত ঘরে বসালে আপনার E-TIN অ্যাকাউন্ট সফলভাবে
তৈরি হয়ে যাবে।একাউন্ট একটিভেশন সফলভাবে সম্পন্ন হলে হোমপেজে গিয়ে আপনার ইউজার
আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে Login করতে হবে।
এরপর আপনি ই-টিন আবেদন ফরমে প্রবেশ করতে পারবেন এবং আপনার NID
অনুযায়ী করদাতার নাম,NID নম্বর,লিঙ্গ,জন্ম তারিখ,পিতা ও মাতার নাম,মোবাইল
নম্বর,ইমেইল,স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সঠিক তথ্য দিয়ে Application
Submit করতে হবে।
সাবমিট করার পর আপনার জন্য একটি E-TIN নম্বর তৈরি হবে। আপনি এই নম্বর ও পুরো
E-TIN Certificate PDF ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন।আপনি E-TIN নম্বর একবারই
তৈরি হবে বারবার করা যায় না।
Letter of Credit করার নিয়ম
LC হলো আন্তর্জাতিক ,আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের জন্য পণ্য আমদানির একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক দলিল। নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের পর LC আমদানিকারকের ব্যাংক থেকে রপ্তানিকারকের ব্যাংকে তার অর্থ পাবেন তার নিশ্চয়তা দেয় ।
LC করার জন্য প্রয়োজনীয় মূল কাগজপত্র
ব্যবসার বৈধতার প্রমাণ সরূপ আপডেটেড ট্রেড লাইসেন্স ,কোম্পানির আর্থিক
অবস্থার স্বচ্ছতা দেখাতে সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট, Import Registration
Certificate কারণ এটি ছাড়া আমদানি কার্যক্রম সম্ভব না,ব্যবসার খাত অনুযায়ী
স্থানীয় চেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ সনদ।
আরো পড়ুন:বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
আয়কর ছাড়পত্র কিন্তু নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়কর ঘোষণাপত্র যথেষ্ট,কর
সনাক্তকরণ ও ব্যবসার স্বচ্ছতা দেখাতে ভ্যাট নিবন্ধন সনদপত্র।ব্যাংক
থেকে LC Application Form,অনুমোদিত ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি
থেকে ইন্সুরেন্স কভার নোট ,সঠিকভাবে পূরণ ও সইকৃত ,LC Authorization
Form,Proforma Invoice Agreement,রপ্তানিকারকের আর্থিক যোগ্যতা যাচাইয়ের
জন্য সাপ্লায়ারের ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট।
এলসি করার নিয়ম
আপনার ও বিক্রেতার মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হলে আপনাকে আপনার ব্যাংকে গিয়ে এলসি
খোলার জন্য আবেদন করতে হবে।এরপর ব্যাংক আপনার কাগজপত্র যাচাই করে তাদের
প্রক্রিয়া শুরু করবে।এবং ব্যাংক এলসি ইস্যু করা হলে তা বিক্রেতার ব্যাংকে
পাঠাবে।
বিক্রেতার ব্যাংক বিক্রেতাকে জানাবে ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দিবে।বিক্রেতা শিপমেন্ট
সম্পন্ন হলে সেটির কাগজপত্র তার ব্যাংকে জমা দিবে।বিক্রেতার ব্যাংক সেই
ডকুমেন্ট আপনার ব্যাংকে পাঠায় যাচাইয়ের জন্য এবং আপনার ব্যাংক সব শর্ত পূরণ হলে
পেমেন্ট ছাড়বে এবং ছাড়পত্র ইস্যু করবে।
বিল অব লেডিং
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে তার মধ্যে Bill of Lading একটি গুরুত্বপূর্ণ শিপিং ডকুমেন্ট কোনো মাল আন্তর্জাতিক
পরিবহনের জন্য জাহাজে উঠানো হয়েছে তা নিশ্চিত করে। এটি আমদানিকারক,
রপ্তানিকারক ও পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।রপ্তানিকারক শিপিং
লাইন ফরোয়ার্ডারের মাধ্যমে কনটেইনার বুক করে।
এরপর বুকিংয়ের পণ্য নির্ধারিত সময়ে পণ্য জাহাজে তোলা হয়।পণ্য লোড হয়ে গেলে
শিপিং কোম্পানি একটি বিল অব লেডিং প্রস্তুত করে।এই ডকুমেন্টে প্রেরক, প্রাপক,
পণ্যের বিবরণ, পরিমাণ, কন্টেইনার নাম্বার, জাহাজের নাম, ছাড়া ও গন্তব্যের বন্দর
উল্লেখ থাকে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেমেন্ট ক্লিয়ার হবার পর বিল অব লেডিং ইস্যু করা
হয়।রপ্তানিকারক ব্যাংকের মাধ্যমে বিল অব লেডিংএর মূল কপি সংগ্রহ করে এবং
আমদানিকারককে পাঠায়।
কাস্টমস ডিক্লারেশন করার নিয়ম
Customs Declaration একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সরকারকে কোনো
ব্যক্তি ,প্রতিষ্ঠান জানায় তারা কী ধরনের পণ্য আমদানি ,রপ্তানি করছে , তার
পরিমাণ, মূল্য ও উৎস কী। এটি শুল্ক, ভ্যাট ও অন্যান্য কর নির্ধারণের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ ।কাস্টমস ডিক্লারেশন নেওয়ার জন্য কিছু নথি প্রস্তুত রাখতে
হবে।চলুন কাস্টমস ডিক্লারেশনের জন্য কি কি নথি লাগে তা জানি।
- Invoice
- প্যাকিং লিস্ট
- Bill of Lading
- IRC
- ট্রেড লাইসেন্স
- টিআইএন সার্টিফিকেট
- এলসি কপি
- বিল অব এন্ট্রি
কাস্টমস ডিক্লারেশনের মূল অংশ হলো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা।কাস্টমস অফিসার
আপনার দাখিলকৃত তথ্য ও ডকুমেন্ট যাচাই করে ডিউটি ও ট্যাক্স নির্ধারণ
করবে।কাস্টমস নির্ধারিত শুল্ক, ভ্যাট আপনাকে ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা অনলাইনে
পরিশোধ করতে হবে।
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কাস্টমস আপনার পণ্যের একটি রিলিজ অর্ডার ইস্যু
করবে।রিলিজ অর্ডার দেখিয়ে বন্দর থেকে আপনি আপনার পণ্য খালাস করাতে পারবেন।
ভুল তথ্য দিলে পেনাল্টি হতে পারে তাই আগে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে সেটা জেনে নিন।
আপনি যদি নিজে কাস্টমসের কাজ করতে না চান তাহলে একটি
লাইসেন্সধারী C&F এজেন্ট এর মাধ্যমেও কাজ করতে পারেন।তারা আপনার হয়ে
পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে দিবে।বড় পণ্য আমদানিতে পেশাদার C&F
এজেন্ট ব্যবহার করলে ভুল হওয়ার ঝুকি কম থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য:বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে কি কি কাগজ পএ লাগে নিয়ম প্রক্রিয়া জানা অত্যন্ত
জরুরি। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি, আমদানির কাগজপত্র, আমদানিকারক লাইসেন্স, কাস্টমস
প্রক্রিয়া, বিল অব লেডিং, ট্রেড লাইসেন্স, আইআরসি সার্টিফিকেট একাধিক
গুরুত্বপূর্ণ নথি যেমন প্রয়োজন পরে তেমনি এসব কাগজের সামান্য ভুলের কারণে আপনার
পণ্য কাস্টমসে আটকে যেতে পারে।
তাই আমদানি কার্যক্রম শুরুর আগে প্রতিটি ধাপ ভালোভাবে জানা ও বুঝা উচিত।যারা নতুন
আমদানিকারক হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাদের জন্য আমার এই গাইডলাইনটি সহায়ক
হবে বলে আশা করি।সঠিক নথিপত্র,তথ্য, সিদ্ধান্তই আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে
পারে।ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url